মরে গিয়ে বেঁচে যেতে চেয়েছিলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ৭০ বছর বয়সী পেঁয়াজচাষী মীর রুহুল আমিন, যার ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ভিডিও এখন মানুষের হাতে হাতে।
সামাজিক মাধ্যমের একাংশ নেটিজেনরা দাবি করেছেন যে, মীর রুহুল আমিনের স্ত্রী আট মাস আগে মারা গেছেন এবং তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে, এমনকি সারা রাত উঠানে থেকেও তার ছেলেরা দরজা খুলে দেয়নি। ফলে তিনি ক্ষুধা ও অভিমান থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
তবে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন তথ্য। মীর রুহুল আমিনের স্ত্রী মরিয়ম বেঁচে আছেন যিনি জানালেন, ঘটনার দিন সকালে খাওয়ার পর তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। তার সাথে বেলা তিনটার আগে দুবার কথা হয়, তবে কোন ধরনের পারিবারিক অশান্তি বা ঝগড়ার বিষয় ছিল না।
এছাড়াও পরিবারের সদস্যরা জানালেন, তার সাথে তাদের কোনো বিরোধ বা দূরত্ব ছিল না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি একজন পেঁয়াজচাষী ছিলেন যিনি পেঁয়াজ আবাদের জন্য তিনটি বেসরকারি সংস্থা থেকে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৬৪ হাজার ও ৮০ হাজার টাকা ঋণ করেছিলেন। প্রতি সপ্তাহে তাঁকে ৪ হাজার ৪৫০ টাকা কিস্তি দিতে হতো। এখনো ৯৯ হাজার ২৯০ টাকা ঋণ অবশিষ্ট রয়েছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় কিস্তি পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল বলে তিনি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন।
মূলত কিস্তির জ্বালা থেকে বাঁচতেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি বলে জানালেন তার পরিবার।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো