যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে ইরানের চাবাহার বন্দর প্রকল্পে ভারতের অংশগ্রহণের জন্য দেওয়া নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি প্রত্যাহার করেছে। এই সিদ্ধান্ত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে, যার ফলে ভারতীয় সংস্থাগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে হবে।
চাবাহার বন্দর ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দরটি পাকিস্তানকে পাশ কাটিয়ে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ করে দেয়। ভারত ২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করে শাহিদ বেহেশতি টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে, যা ২০২৪ সালে দশ বছরের জন্য নবায়ন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ভারতের কৌশলগত পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষজ্ঞ ব্রহ্মা চেলানি এক্স হান্ডেলে লিখেছেন, “ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের ওপরে চাপ আরও বাড়াচ্ছে। ভারতীয় পণ্যের ওপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পরে এখন ভারতের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে ইরানের চাবাহার বন্দরের ওপর ২০১৮ সালে নিষেধাজ্ঞায় যে ছাড় দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হলো।”
ভারত সরকার এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পর্যালোচনা করছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পর্যালোচনা করছি।”
এই পরিস্থিতিতে, ভারতকে তার কৌশলগত পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে। চাবাহার বন্দর প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার ওপর।
এদিকে, ইরানও তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, “এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়ের পরিপন্থী।” তিনি আরও বলেন, “ইরান তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”
এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করা জরুরি। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানকে তাদের স্বার্থ ও কৌশলগত লক্ষ্য বিবেচনায় রেখে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে।