৩০ জুলাই ২০২৫
মার্কিন সময় মঙ্গলবার, এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “যুদ্ধ যদি বন্ধ না হয়, তাহলে আমরা রাশিয়ার ওপর শুল্ক আরোপ করব এবং অন্য পদক্ষেপ নেব।”
তিনি আরও বলেন, “এই পদক্ষেপে রাশিয়ার কিছু হবে কি না জানি না। কারণ, তাদের মনে হচ্ছে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ারই ইচ্ছা। তবে আমরা থেমে থাকব না। প্রভাব পড়বে কি না, দেখা যাবে।”
ট্রাম্প জানান, সোমবার তিনি রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং ‘সেকেন্ডারি ট্যারিফ’—অর্থাৎ রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করা তৃতীয় পক্ষের দেশগুলোর ওপরও শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। সেদিনই তিনি রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধে ১০ থেকে ১২ দিনের সময় দিয়েছিলেন, যা এর আগে দেওয়া ৫০ দিনের আলটিমেটামের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে সর্বশেষ অবস্থানে এসে সময়সীমা আরও কমিয়ে আনেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আগামী ৮ আগস্ট এর মধ্যেই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে রাশিয়াকে। এর আগে সেপ্টেম্বরের শুরু পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের আগে পুতিনের প্রতি নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, “আমি পুতিনের ওপর খুব হতাশ। কারণ, সে হঠাৎ কোনো শহরে—যেমন কিয়েভে—রকেট হামলা চালায়, যেখানে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা মানুষ মারা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এখন নতুন করে মূল্যায়ন করছি। আগের যে ৫০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলাম, তা আর টেকসই নয়। আমি এখন জানি, কী ঘটতে চলেছে।”
ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে নতুন কড়াকড়ির ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।