ওয়াশিংটন থেকে হোয়াইট হাউস বৃহস্পতিবার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের (Department of Defense) নাম পরিবর্তন করে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ (Department of War) করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, এ পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ভাবমূর্তি তুলে ধরবে।
হোয়াইট হাউসের এক নথি অনুসারে, আইন অনুযায়ী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম অপরিবর্তিত থাকলেও ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ‘সেকেন্ডারি টাইটেল’ বা দ্বিতীয় নাম হিসেবে ‘Department of War’ ব্যবহারের অনুমোদন দেবেন। এর ফলে প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা ‘Secretary of War’-এর মতো নাম সরকারি চিঠিপত্র, জনসম্মুখে বক্তব্য, আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান ও নির্বাহী শাখার বিভিন্ন নথিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
ট্রাম্পের শুক্রবারের সরকারি সূচিতে একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর এবং ওভাল অফিসে ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে ঠিক কবে তিনি এ আদেশে স্বাক্ষর করবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
৭৯ বছর বয়সী রিপাবলিকান নেতা গত মাসে সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম “খুবই প্রতিরক্ষামূলক” শোনায়। তিনি যুক্তি দেন, “Department of War নামের অধীনেই আমরা প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জিতেছি, সবকিছু জিতেছি।” হোয়াইট হাউসের নথিতে বলা হয়েছে, নতুন নাম “আমাদের প্রস্তুতি ও অঙ্গীকারের আরও দৃঢ় বার্তা বহন করবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার পর প্রথম দিকে ‘Department of War’ নামেই স্থলবাহিনী পরিচালিত হতো। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালে এর নামকরণ হয় ‘Department of Defense’।
হোয়াইট হাউসের মতে, আবারও ‘Department of War’ নাম ফিরিয়ে আনা হলে তা জাতীয় স্বার্থের প্রতি মনোযোগ বাড়াবে এবং প্রতিপক্ষকে বার্তা দেবে যে, আমেরিকা প্রয়োজনে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।
পেন্টাগনে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প ব্যাপক পরিবর্তন আনছেন। সাবেক ফক্স নিউজ উপস্থাপক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা পিট হেগসেথকে মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। হেগসেথ বারবার “যোদ্ধার নীতি” ফিরিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করেছেন এবং আগের প্রশাসনের নীতিকে “ওক” বলে সমালোচনা করেছেন।
তিনি বিশেষভাবে ট্রান্সজেন্ডার সেনাদের বাহিনী থেকে বহিষ্কার এবং গৃহযুদ্ধকালীন কনফেডারেট সেনাদের নামে রাখা ঘাঁটির নাম পরিবর্তন করে মূল নাম ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছেন।
যদিও ভবিষ্যৎ কোনো প্রেসিডেন্ট চাইলে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারবেন, ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে, স্থায়ীভাবে নাম পরিবর্তনের জন্য আইন ও নির্বাহী পদক্ষেপ নিতে ‘Secretary of War’-কে সুপারিশ করতে হবে।