
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে ঢাকা–লন্ডন রুটে যাত্রীচাপ বেড়েছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা–লন্ডন রুটে সংস্থাটির কোনো টিকিট আর অবশিষ্ট নেই। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৪ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ২৫ ডিসেম্বর সকালে দেশে পৌঁছাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) আশরাফুল আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, “সাধারণত বছরের এই সময়ে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার রুটগুলোতে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। বড়দিনের ছুটিতে অনেক প্রবাসী দেশে ফেরেন।”
তারেক রহমানের আগমন ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভ্রমণের কারণে টিকিটের অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটি একটি কারণ হতে পারে। তবে সচরাচর বছরের এই সময় আমাদের এসব রুটে যাত্রীদের অনেক চাপ থাকে।”
বর্তমানে ঢাকা–লন্ডন রুটে সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। সোম ও মঙ্গলবার এই রুটে কোনো ফ্লাইট পরিচালিত হয় না।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সামনে রেখে আগমনী প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে যান বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের নিরাপত্তা ইউনিটের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অন্যান্য নেতারা।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি জানান, বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা ছাড়াও সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং পরে গুলশানে চেয়ারপারসনের বাসভবন পর্যন্ত যাতায়াতের রুট পরিদর্শন করা হয়েছে। একই সঙ্গে দলের নিরাপত্তা টিম সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।