গাজামুখী আন্তর্জাতিক মানবিক নৌবহর সুমুদ ফ্লোটিলাতে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। বুধবার রাতে দখলদার ইসরাইলি সেনারা এই বহরে হানা দিয়ে ১৩টি জাহাজ থেকে পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গসহ দুই শতাধিক কর্মী ও সমাজসেবীকে আটক করেছে।
শহিদুল আলম বর্তমানে কনসায়েন্স নামের একটি বড় জাহাজে অবস্থান করছেন, যা এখনো আটক হয়নি। হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন—“আমরা বারবার যাত্রা করব। এই জলসীমা বা ভূমি ইসরাইলের নয়; ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।”
বুধবার সন্ধ্যায় তিনি আরও জানান, তার “ড্রোন ওয়াচ” পর্যবেক্ষণে একটি তুর্কি জাহাজ দেখা গেলেও তৎক্ষণাৎ কোনো বিপদের লক্ষণ ছিল না।
প্রায় ৫০টি জাহাজ ও নৌকা নিয়ে গঠিত এই বহরে ৪০ দেশের পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নিয়েছেন। স্পেন থেকে যাত্রা শুরু করা বহরটি গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এবং এতে রয়েছে খাদ্য, ওষুধ ও জরুরি সহায়তা।
গত মার্চ থেকে গাজার সব প্রবেশপথ বন্ধ এবং মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এ উদ্যোগ বিশ্বজনীন সংহতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি ইসরাইলের অবরোধ ও অমানবিক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক শক্তিশালী বার্তাও বহন করছে।