কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর জমকালো আয়োজন
বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) আয়োজিত ‘কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অনুষ্ঠানে ক্রীড়াবিদদের মাঝে মিলনমেলা বসে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। নানা ক্রীড়া ইভেন্টে সেরা খেলোয়াড়, সংগঠক ও সংস্থাগুলোকে সম্মাননা দেওয়া হয় এই আয়োজনে।
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা এবং অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা পাওয়া আরচার সাগর ইসলাম। তবে দর্শকদের ভোটে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদের পুরস্কার—‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’—জিতেছেন ঋতুপর্ণা চাকমা।
১৫টি ক্যাটাগরিতে ১৩ জন ব্যক্তি, দল ও সংস্থাকে পুরস্কৃত করা হয়। সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিবের সভাপতিত্বে আয়োজনে অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন—
বর্ষসেরা অ্যাথলেট: জহির রায়হান
বর্ষসেরা আরচার: সাগর ইসলাম
বর্ষসেরা দাবাড়ু: মনন রেজা নীড়
বর্ষসেরা দল: অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল
বর্ষসেরা কোচ: মওদুদুর রহমান শুভ
বর্ষসেরা আম্পায়ার: শরফুদ্দৌলা সৈকত
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ: নাহিদ রানা
তৃণমূল ক্রীড়াব্যক্তিত্ব: বীরসেন চাকমা
বর্ষসেরা সংগঠক: মো. ইমরুল হাসান (বসুন্ধরা কিংস)
সক্রিয় সংস্থা: যশোর শামস-উল-হুদা একাডেমি
বিশেষ সম্মাননা: হামিদুল ইসলাম (২০১০ এসএ গেমস সোনাজয়ী ভারোত্তোলক)
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিরাজ বলেন, “এই আয়োজন শুধু পুরস্কার নয়, খেলোয়াড়দের মধ্যে সংযোগের একটি মাধ্যম।” অপরদিকে, ভুটানে খেলার কারণে অনুপস্থিত থাকা ঋতুপর্ণা ভিডিওবার্তায় বলেন, “এই সম্মান আমাকে আরও ভালো খেলোয়াড় হতে অনুপ্রাণিত করবে।”
আসিফ মাহমুদ সজীব বলেন, “আমরা ক্রীড়াক্ষেত্রে সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য কাজ করছি। বাজেট বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।”
অঞ্জন চৌধুরী বলেন, “জেলা পর্যায়ের খেলাধুলা পুনরুজ্জীবিত করতেই আমাদের উদ্যোগ প্রয়োজন।”
৬২ বছর ধরে দেশের ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি জানিয়ে আসা বিএসপিএ ভবিষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।