বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিপিএ জানায়, রমজান ও ঈদের সময় প্রান্তিক খামারিরা দৈনিক ২০ লাখ কেজি মুরগি উৎপাদন করেছে, কিন্তু বাজারদরের সঙ্গে মিল না থাকায় তারা কেজিতে গড়ে ৩০ টাকা লোকসান করেছে। এতে এক মাসেই ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা।
প্রতিদিন উৎপাদিত ৪ কোটি ডিমের মধ্যে ৩ কোটি ডিম আসে প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে। প্রতি ডিমে ২ টাকা লোকসানে গত দুই মাসে ডিম থেকে ক্ষতি হয়েছে ৩৬০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে দুই মাসে এই খাতের মোট লোকসান দাঁড়িয়েছে ১,২৬০ কোটি টাকা।
বিপিএর অভিযোগ, কিছু করপোরেট কোম্পানি বাজারে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা শুধু খাদ্য ও ওষুধ নয়, ডিম-মুরগির দামও ঠিক করছে। এর ফলে খামারিরা প্রতিনিয়ত ক্ষতির মুখে পড়ছে।
সংগঠনটি জানায়, বর্তমানে ব্রয়লার উৎপাদনে প্রতি কেজির খরচ ১৬০–১৭০ টাকা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১২০–১২৫ টাকায়। ডিম উৎপাদন খরচ ১০–১০.৫০ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৮–৮.৫০ টাকায়। এর ফলে প্রতিদিন শত শত খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বিপিএর দাবি, যদি সরকার দ্রুত সিন্ডিকেট ভাঙার ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তারা মে মাস থেকে ডিম ও মুরগি উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে।