ইয়ামিন হত্যা: এক বছর পর অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ এএসআই গ্রেপ্তার - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
জাবিতে প্রাণ রসায়ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা বিদেশে নতুন আগত বাংলাদেশিদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফজলে এলাহী সাবেক সেনাকর্মকর্তার জবানিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর প্রকৃত চিত্র কাতার–সৌদি মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত ‘আপাতত স্থগিত’ করল আফগানিস্তান পাকিস্তান আবারও আফগান সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে আফগান বাহিনী জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বালিয়াকান্দিতে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ক্লাস করতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আটক কুবির তিন শিক্ষার্থী নোবিপ্রবি মডেল ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্সে পুরস্কার জয়ী রাজবাড়ীর কালুখালীর গুণী সংগীতশিল্পী জাহিদ হাসানের মৃত্যু

ইয়ামিন হত্যা: এক বছর পর অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ এএসআই গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৩৩ বার দেখা হয়েছে

গত বছরের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সাভারে শিক্ষার্থী শাইখ আস-হাবুল ইয়ামিনকে হত্যার মামলায় অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এক বছর পলাতক থাকার পর তাকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকা থেকে রোববার (৩ আগস্ট) সকালে আটক করা হয়। বিষয়টি রাতে নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম।

গ্রেপ্তারের পর মোহাম্মদ আলীকে সাভার থানা পুলিশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল।

২০২৪ সালের ১৮ জুলাই সাভারে ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের একটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) থেকে ফেলে দেওয়া হয় এমআইএসটি-র চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাইখ ইয়ামিনকে। ফেলে দেওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়।

নিহত ইয়ামিন রাজধানীর মিরপুরে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি থাকতেন প্রতিষ্ঠানের ওসমানী হলে, আর তার পারিবারিক বাসা ছিল সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায়।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশের গাড়ি থেকে এক যুবককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় এবং তার পরপরই গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর থেকে আন্দোলনকারীরা বারবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ইয়ামিনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রদ্ধা ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।

পুলিশ বলছে, মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তারের মাধ্যমে তদন্তে নতুন গতি আসবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতের প্রক্রিয়া সামনে এগোবে। বর্তমানে তদন্ত সংস্থা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT