বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বুধবার গাজা উপকূলে পৌঁছানোর আগেই আন্তর্জাতিক জলসীমায় ফ্লোটিলার আটটি জাহাজ আটক করা হয়। এসব জাহাজ থেকে দেড়শোরও বেশি স্বেচ্ছাসেবীকে ধরে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নেওয়া হয়েছে। সবাই সুস্থ আছেন এবং দ্রুত নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) আয়োজনে গঠিত নয় জাহাজের এই বহরটি দুই সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। একটি বড় জাহাজে প্রায় ১০০ জন এবং বাকি আটটি ছোট নৌযানে আরও ৫০ জন কর্মী ছিলেন। আয়োজকদের দাবি, ফ্লোটিলায় অন্তত দুইজন ইসরায়েলি নাগরিকও ছিলেন।
বুধবার ভোরে গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর বিশেষ ইউনিট ‘শায়েতেত ১৩’ অভিযান চালিয়ে জাহাজগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। ৬৮ মিটার দীর্ঘ ‘কনশানস’ জাহাজে নামতে কমান্ডোরা হেলিকপ্টার থেকে রশি বেয়ে নামে বলে জানানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা সংগঠকরা অভিযোগ করেছেন, জাহাজে ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালানো হয় এবং আটটি নৌযান অবৈধভাবে আটক করে ছিনতাই করা হয়েছে। তাদের দাবি, এসব নৌযান গাজার হাসপাতালের জন্য পাঠানো ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পুষ্টি সহায়তা বহন করছিল।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের এই হামলা ‘সমুদ্র ডাকাতির শামিল’ এবং আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন। তুরস্ক জানায়, আটক ফ্লোটিলায় তাদের সংসদ সদস্য ও নাগরিকও ছিলেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, “গত দুই বছরে হিটলারের চেয়েও ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল।”
এর এক সপ্তাহ আগেও গাজামুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ৪০টিরও বেশি নৌকা আটক করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী, যেখানে ৪৫০ জনেরও বেশি অধিকারকর্মী ছিলেন।