
রয়টার্সে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বুধবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “একবিংশ শতাব্দীতে শেখ হাসিনার মতো বড় খুনি বা এত ভয়ানকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী আর কেউ নেই—এটা প্রতিষ্ঠিত।”
তিনি আরও বলেন, “যারা তার (শেখ হাসিনার) সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন, তারা যেন এই প্রেক্ষাপট ভুলে না যান। ওনার যেসব দাবি, সেগুলো যেন বিনা প্রশ্নে ছেড়ে না দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে।”
শফিকুল আলম জাতিসংঘের রিপোর্ট ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে বলেন, “ইউএন রিপোর্টে স্পষ্টভাবে এসেছে—২০২৪ সালের সহিংসতায় শেখ হাসিনা প্রত্যক্ষ নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে আল জাজিরা ও বিবিসির প্রতিবেদনেও সেটি প্রমাণিত হয়েছে, যেখানে তার খুনের নির্দেশ শোনা গেছে।”
তিনি যুক্তরাজ্যের ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার নামের একটি ল ফার্মের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) করা আবেদনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ সেই ফার্মকে হায়ার করে নিজেদের পক্ষে মামলা করেছে। কিন্তু হাসিনার নেতৃত্বে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো উল্লেখ সেখানে নেই—এটা দুঃখজনক।”
প্রেস সচিব অভিযোগ করেন, “আমাদের টাকা চুরি করে তারা ইউকের সবচেয়ে দামী ল ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে, আবার সেই টাকায় নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করছে। অথচ আওয়ামী লীগের দাবি করা ৪০০ মৃত্যুর সংখ্যা পর্যন্ত কোনো যাচাই ছাড়াই প্রচার করা হচ্ছে।”
শফিকুল আলমের এই বক্তব্যের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারে দেয়া বক্তব্যের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হলো।