রাজধানীর মিটফোর্ডে লালচাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও পাথর মেরে হত্যার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। তবে উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে বহিরাগত উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে।
শনিবার (১১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হল থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, আবাসিক ভবন, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড গেটে এসে শেষ হয়।ছাত্রদলের এই মিছিলে শেকৃবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী ছাড়াও বহিরাগতদের আনাগোনা লক্ষ করা গিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শেকৃবি ছাত্রদলের এই কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বহিরাগত অংশগ্রহণ করে। মিছিল থেকে বের হয়ে চলে যাওয়ার পথে এক ব্যাক্তিকে তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না, এখানে খাবার খেতে এসেছিলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা ঠিক না। বহিরাগতদের এনে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে তার দায় কে নেবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী বলেন,বহিরাগতদের এনে ক্যাম্পাসে মিছিল করার ঘটনা আমাদের নিরাপত্তা ও শিক্ষার পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলে। আমরা এখানে লেখাপড়া করতে এসেছি, কোনো রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার অংশ হতে নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করা।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রদল কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বহিরাগতদের নিয়ে মিছিল করাটা দলের ভাবমূর্তির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হয়। বর্তমান নেতৃত্বের এই অপরিণামদর্শী কাজ ছাত্রদলের জন্যই ক্ষতিকর।
এ বিষয়ে শেকৃবি ছাত্রদল সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস বলেন, মিছিলে কোন বহিরাগত ছিলো বলে আমার জানা নেই, যে দুই একজন অপরিচিত ছিলো তারা পরবর্তী ব্যাচের, আগেই হলে এসে উঠেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো: আরফান আলী বলেন, এই বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। কেবলমাত্র জানলাম। অন্ধকারে তেমন কিছু খেয়ালও করতে পারিনি।