রাজবাড়ীতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে জেলার ৭ জন গুণী শিক্ষককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার গুণী শিক্ষকদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন—
কলেজ ক্যাটাগরিতে সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক (গণিত) অদ্বৈত কুমার দাস,
মাধ্যমিক স্কুল ক্যাটাগরিতে রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) মো. ওলিউল আজম,
মাদরাসা (আলিম/ফাজিল/কামিল) ক্যাটাগরিতে ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক (আরবি) মোহাম্মদ ফয়েজুর রহমান,
মাদরাসা (দাখিল) ক্যাটাগরিতে পাংশা উপজেলার নাদুরিয়া সিদ্দিকিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো. আব্দুল হাই,
মাদরাসা (এবতেদায়ী) ক্যাটাগরিতে শ্রিপুর লজ্জাতুননেছা কামিল মাদরাসার ইবতেদায়ী প্রধান মোস্তফা কামাল,
প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্যাটাগরিতে বালিয়াকান্দি উপজেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এবং কাজীবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মরিয়ম মেরী।
এর আগে সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আম্রকানন চত্বরে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল ‘শিক্ষাগত পেশা, মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি’।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও শিক্ষা-আইসিটি) শংকর চন্দ্র বৈদ্য, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জিহাদ আনসারী, সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান ও শিক্ষক নেতা গাজী আহসান হাবীব বক্তব্য দেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন,
“শিক্ষক শুধু পাঠদান করেন না, তারা শিক্ষার্থীর চিন্তা, চরিত্র ও ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আমাদের আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে শিক্ষকদের অবদান অপরিসীম।”
তিনি শিক্ষকদের মর্যাদা ও দায়িত্ববোধের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সভায় শিক্ষক প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, শিক্ষা পেশার মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা এখনও নিশ্চিত হয়নি। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বেতন গ্রেড উন্নীতকরণ ও সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে জেলার কলেজ, মাধ্যমিক, মাদরাসা, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।