রাজবাড়ীতে স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
হাসিনার ফাঁসির রায়ে শেকৃবিতে মিষ্টিমুখ ও আনন্দ মিছিল নষ্ট মোবাইল দান কর্মসূচিতে বেকার যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ সৌদি আরব বলেছে, “স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র” ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রশিবিরের মিছিল হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে প্রতিক্রিয়া: ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে দাবি হেফাজতে ইসলামের কুবিতে আইইএলটিএস প্রস্তুতি বিষয়ক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত কুবিতে প্রোগ্রামিং ও সমস্যা সমাধান কর্মশালা অনুষ্ঠিত বুটেক্স হলগুলোতে মশার ভয়াবহ উপদ্রব, ডেঙ্গুতে বহু শিক্ষার্থী আক্রান্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘Allama Iqbal’s Theory of Khudi’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত জুলাই অভ্যুত্থান মামলা : পলাতক আসামিরা আপিল করতে পারবেন না

রাজবাড়ীতে স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫০ বার দেখা হয়েছে

রাজবাড়ীর পাংশায় স্বামী শহিদ মণ্ডল হত্যা মামলায় স্ত্রী রহিমা খাতুন ও পরকীয়া প্রেমিক সোহেল মণ্ডলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিই পলাতক ছিলেন।

সোহেল মণ্ডল জেলার পাংশা উপজেলার কাজিয়ালপাড়া গ্রামের জিয়া উদ্দিনের ছেলে এবং রহিমা একই গ্রামের নিহত শহিদ মণ্ডলের স্ত্রী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ রাত থেকে ১০ মার্চ ভোররাত ২টার মধ্যে শহিদ মণ্ডলকে তার স্ত্রী রহিমা খাতুন ও পরকীয়া প্রেমিক সোহেল শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে নিহতের ভাই শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজবাড়ীর আমলী আদালতে সোহেলসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন, যা পরবর্তীতে পাংশা মডেল থানায় রেকর্ড হয়।

তদন্ত চলাকালে পুলিশ রহিমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে রহিমা জানান, বিয়ের আশ্বাসে প্রেমিক সোহেলের কথামতো তিনি দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামীকে খাওয়ান। পরে শহিদ ঘুমিয়ে পড়লে সোহেল ঘরে ঢুকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে গলায় টিপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে। কিছুক্ষণ পর রহিমা চিৎকার দিয়ে প্রতিবেশীদের ডাকেন।

এরপর জামিনে মুক্ত হয়ে রহিমা খাতুন পলাতক হন।

রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক জানান, চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় আদালত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিই পলাতক ছিলেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT