বুধবার (২০ আগস্ট) রাত ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক মো. শামীম পাটোয়ারীর পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ এবং সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “রাকসু রাবি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছরের এক আকাঙ্ক্ষার নাম। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী প্রশাসন নিয়োগ হওয়ার পরেই ঘোষণা করেছিল ছয়মাসের মধ্যে রাকসু বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু সেটা নিয়ে বিগত কয়েকমাস ধরে টালবাহানা শুরু করে আসছে। সর্বশেষ গত ২৮শে জুলাই সিনেট ভবনে ঘোষিত রাকসুর তফসিলে ২০ আগস্ট মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হওয়ার তারিখ নির্ধারিত থাকলেও কোনো কারণ ছাড়াই আজ হঠাৎ সেটি বন্ধ ঘোষণা করা হলো। রাকসু নির্বাচন কমিশনের এহেন দ্বিচারিতায় আমরা খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করছি, সেইসাথে এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “রাবি শাখা ছাত্রশিবির মনে করে রাকসু নির্বাচন কমিশন একটা রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের অছাত্রদেরকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, নির্বাচন কমিশন যদি কোনো সংগঠনের সাথে সমঝোতা করে থাকে এবং নির্দিষ্ট সময়ে রাকসুর সকল কাজ সমাধান কিংবা শেষ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে এই ক্যাম্পাসের সকল শিক্ষার্থী এটার বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে এবং রাকসু আদায়ের জন্য কঠোর হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল ১৯ আগষ্ট রাকসু নির্বাচনের চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও প্রকাশ হয়নি এবং আজকে ২০ আগস্ট থেকে মনোনয়ন বিতরণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ রাতে ১২টায় অনিবার্য কারণবশত আজকে মনোনয়নপত্র বিতরন কার্যক্রম বন্ধ থাকার বিষয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দেয় রাকসু’র প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মো. আমজাদ হোসেন।