দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস গত ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর যখন আক্রমণ করে, তখন পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক নিন্দার ঝড় উঠে। হামাস হয়ে ওঠে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সমালোচকদের মধ্যে সক্রিয়ভাবে যারা অংশ নেন, তাদের মধ্যে প্রখ্যাত ব্রিটিশ গণমাধ্যমকর্মী পিয়ের্স মরগান অন্যতম। তার প্রায় প্রতিটি টকশো থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিলিস্তিনের পক্ষে কেউ কথা বললে “ডু ইউ কন্ডেম হামাস (তুমি কি হামাসকে নিন্দা জানাও?)” বলতে শোনা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পিয়ের্সের ওপর অসন্তোষ সৃষ্টি হতে থাকে। কেউ কেউ মিম বানানো শুরু করে পিয়ের্সকে তুলোধুনো করতে থাকে।
সময়ের সাথে প্রেক্ষাপট বদলাতে থাকে। গাযায় অবস্থানরত অনেক বিদেশিরা প্রাণ নিয়ে নিজ দেশে ফেরার পর গণমাধ্যমগুলোতে বিগত ১.৫ বছরের অধিক সময় ধরে চলা গাযার নিরপরাধ মানুষের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ, অবরোধ ও হত্যাযজ্ঞ নিয়ে ইসরায়েলের বর্বরতা তুলে ধরেন। পিয়ের্স মরগ্যানও ধীরে ধীরে সুর বদলাতে থাকেন। ইসরায়েলের পক্ষে তার গড়ে তোলা বয়ান থেকে তিনি সরে আসেন। ক্রমেই হয়ে ওঠেন ফিলিস্তিনের পক্ষে এক সোচ্চার কন্ঠ। সাথে সাথে ইসরায়েলপন্থীদের টার্গেটে পড়ে যান। গত ৪ জুন নিজের এক্স প্রোফাইলে এক ইসরায়েলপন্থীর টুইট শেয়ার দিয়ে বলেন,”এটা আমার কাছে হুমকি মনে হচ্ছে।”, ওই ইসরায়েলপন্থী পিয়ের্স মরগ্যানকে ইহুদীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা দেন। ওই ব্যক্তির টুইটে বেশিরভাগ এক্স ব্যবহারকারী ইসরায়েলের ক্রমাগত মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কমেন্ট করেন।
This sounds like a threat to me. https://t.co/XR7Lbp0jWo
— Piers Morgan (@piersmorgan) June 4, 2025
প্রযুক্তির কল্যাণে গাযায় চলমান হত্যাযজ্ঞকে এখন অস্বীকারের সুযোগ নেই। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ এখন নির্যাতিত গাযাবাসীর পক্ষে। পিয়ের্স মরগ্যানের মতো ফিলিস্তিনিদের কট্টর সমালোচকের প্রত্যাবর্তন থেকে হয়ত একদিন ফিলিস্তিনের ওপর নির্যাতনের অবসান ঘটবে।