
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং শুক্রবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। একই সঙ্গে সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে জানাজার সময় বেলা আড়াইটায় নির্ধারিত হলেও পরে তা পরিবর্তন করে বেলা ২টায় নির্ধারণ করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ ঢাকায় পৌঁছায়। সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে একই দিন সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার পর) ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ফ্লাইটটি।
ইনকিলাব মঞ্চের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে আগামীকালের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মরদেহ হিমাগারে রাখা হয়েছে।
পোস্টে আরও বলা হয়, পরিবারের দাবির ভিত্তিতে শহীদ ওসমান হাদিকে কবি নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাদ জোহর জানাজার পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়।
এদিকে ইনকিলাব মঞ্চ ছাত্র-জনতাকে শৃঙ্খলার সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কোনো গোষ্ঠী যাতে অনুপ্রবেশ করে সহিংসতার সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। মরদেহ দেখার কোনো সুযোগ থাকবে না বলেও জানানো হয়।