বাধ্যতামূলক অবসরে এনবিআরের শীর্ষ ৪ কর্মকর্তা - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
২০ জুলাই বিইউপিতে শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান মসজিদ উদ্বোধনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে খতিবের মর্মান্তিক মৃত্যু দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা ভারী বর্ষণে মৃত ৪, নিখোঁজ ২, হাজারো মানুষ গৃহহীন ইসরায়েল ‘সমস্ত বন্দিমুক্তির প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান করেছে, দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতির ঘোষণা হামাসের মিঠুনের পা ছোঁয়া, মোদির জড়ানো—দুর্গাপুরে এক অভিনব নাট্যচিত্র ঢাকা শহরের বুকে ‘চাপাতি হাতে ছিনতাই’, নীরব ছিল জনতা ও পুলিশ সোহরাওয়ার্দীতে জামায়াতের মহাসমাবেশে লাখো জনতার ঢল, শৃঙ্খলা-পরিকল্পনায় নজিরবিহীন উদাহরণ ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে ‘টর্চ লাইট’ মিছিল, তদন্তের দাবিতে স্লোগানে মুখর ক্যাম্পাস শেকৃবিতে ‘জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন’ শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল জাবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি তুর্য, সম্পাদক নোমান

বাধ্যতামূলক অবসরে এনবিআরের শীর্ষ ৪ কর্মকর্তা

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫
  • ৫৮ বার দেখা হয়েছে
ভ্যাট-শুল্ক বেড়েছে
ছবি: এনবিআর

দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি রাজস্ব সংগ্রহে অচলাবস্থা সৃষ্টির অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর চার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্তের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে এবং জনস্বার্থে পরিষেবা নিশ্চিত করতেই সরকার এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন ভ্যাট নীতি বিভাগের সদস্য (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. আবদুর রউফ; শুল্ক নীতি ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সদস্য (গ্রেড-২) হোসেন আহমেদ; কর (গ্রেড-২) সদস্য আলমগীর হোসেন; এবং বরিশাল কর অঞ্চলের কর কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) মো. সাব্বির আহমেদ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এই চার কর্মকর্তা প্রত্যেকেই ২৫ বছরের চাকরি জীবন পূর্ণ করেছেন, যা তাদের সরকারি বিধি অনুযায়ী বাধ্যতামূলক অবসরের যোগ্য করে তুলেছে। তারা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী অবসরকালীন সুবিধা পাবেন।

এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এলো যখন এনবিআর কর্মকর্তাদের দেশব্যাপী আন্দোলনের কারণে শুল্ক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত করার একদিন পর। গত ১২ মে সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করে এনবিআর এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ গঠন করার পর এনবিআর কর্মকর্তাদের এই প্রতিবাদ শুরু হয়।

এনবিআর কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে, এই অধ্যাদেশটি রাজস্ব বিভাগের ক্ষমতা প্রশাসন ক্যাডারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাওয়ার একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। প্রতিবাদী কর্মকর্তারা এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানকে এর জন্য দায়ী করে তার অপসারণের দাবি জানান। গত ২৮ ও ২৯ জুন আন্দোলনের চরম পর্যায়ে সারাদেশে বিমানবন্দরগুলোর জরুরি পরিষেবা ছাড়া কাস্টমস হাউস, ভ্যাট অফিস এবং আয়কর অফিসসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেবাগুলো ব্যাহত হওয়ার পর সরকার কঠোর অবস্থান নেয় এবং এনবিআরের সকল কাজকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করে। আন্দোলনের মুখে অনেক কর্মকর্তা চাপে পড়ে কাজে ফিরে এলেও, সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুই দফায় ১১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে, যা এনবিআর কর্মীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।

এনবিআর সূত্রগুলো ধারণা করছে, আগামী দিনগুলোতে আরও অনেক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত বা অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হতে পারে। দেশের রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া সচল রাখা এবং জনগণের কাছে অত্যাবশ্যকীয় সরকারি পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT