পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনী পাকিস্তানের সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালালে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী তাৎক্ষণিক এবং জোরালো প্রতিক্রিয়া জানায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভী রোববার (১২ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, “আফগানিস্তানকে ইটের বদলে পাথর দিয়ে জবাব দেওয়া হচ্ছে।”
মহসিন নাকভী আরও বলেন, বেসামরিক জনগণের ওপর আফগান বাহিনীর গুলি চালানো আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। পাকিস্তানের সাহসী বাহিনী দ্রুত এবং কার্যকর জবাব দিয়েছে। কোনো উসকানি সহ্য করা হবে না। তিনি জানান, পাকিস্তানের বাহিনী সজাগ ও তৎপর রয়েছে এবং আফগানিস্তানের উসকানির জবাব দেয়া হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, আফগানিস্তানকেও ভারতের মতো কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আফগান বাহিনীর হামলার জবাবে পাকিস্তানি সীমান্তে ১৯টি আফগান সীমান্ত চৌকি দখল করা হয়েছে। হামলার সময় চৌকিতে থাকা আফগান তালেবান নিহত হয়েছেন এবং বাকি সদস্যরা পালিয়ে গেছেন। কিছু চৌকিতে আগুন লেগেছে। রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তালেবানের মনোজবা ক্যাম্প ব্যাটালিয়ন সদর দফতর, জান্দুসার পোস্ট, তুর্কমেনজাই ক্যাম্প এবং খারচর দুর্গ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে।
নিরাপত্তা সূত্র আরও জানিয়েছে, আফগানিস্তানের দিক থেকে গোলাগুলি মূলত খাওয়ারিজ গঠনগুলোকে পাকিস্তানের সীমান্তে প্রবেশ করানোর উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছিল। তবে সতর্ক এবং প্রস্তুত পাকিস্তানি পোস্ট তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখায়।
পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে এই সংঘর্ষের ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংযম ও সংলাপের মাধ্যমে পরিস্থিতি সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।