সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্মের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রা.) এবং সাহাবি হজরত মুয়াবি (রা.) নিয়ে কূরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাসের অভিযোগে মৌলভীবাজারে উমায়রা ইসলাম নামে এক নারী আইনজীবীকে আটক করেছে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
শনিবার ২৮ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মৌলভীবাজার শহরের ক্লাব রোডের তার বাসা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশ বলছে, নবীজীর সাহাবীদের নিয়ে ওই নারী আইনজীবী তার নিজের ফেসবুক আইডিতে এমন কটূক্তি মূলক পোষ্ট দেন। তাকে কূরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাসের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উমায়রা ইসলাম তার ফেসবুক আইডিতে মহানবী (সা.) ও হযরত উমর রা: সাহাবায়ে কেরাম নিয়ে কটুক্তি, কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাসসহ ইসলাম এবং আলেম-উলামা বিদ্বেষী বিভিন্ন লেখালেখি করে আসছেন।
শনিবার ২৮ জুন খলিফাতুল মুসলিমীন হজর উমর রা. ও সাহাবি আমিরে মুয়াবি রা. নিয়ে কূরুচিপূর্ণ ভাষার একটি পোস্ট তার নিজের ফেসবুক আইডিতে দিলে অনেক ধর্মপ্রাণ মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়। বিষয়টি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানে। এরই প্রেক্ষিতে জোরালো দাবি ওঠে অভিযুক্ত নারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। মৌলভীবাজার মুসলিম কমিউনিটি, জেলার আলেম-ওলামা, সর্বদলীয় ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ ধর্মপ্রাণ ছাত্র-জনতাসোচ্চার হয়ে উঠেন ওইআইনজীবীকে গ্রেফতারের বিষয়ে। অবশেষে নবী-সাহাবি নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে উময়ারা ইসলামকে পুলিশ আটক করে মডেল থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ১০ টা পর্যন্ত ওই নারীর বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখায়নি। আটককৃত ওই নারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সখ্যতার ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এদিকে মৌলভীবাজার মডেল থানার সামনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ব্যাপক উপস্থিতি ও ক্ষোভ বাড়ছে। আলেম উলামা ও স্থানীয় ধর্মপ্রাণ ছাত্রজনতার দাবি অভিযুক্ত নারীকে গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মৌলভীবাজার সদর মডেল এবিষয়ে মডেল থানার ওসি গাজী মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, ফেসবুকে নবীর সাহাবীদের নিয়ে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে এক নারীকে আটক করে পুলিশী হেফাজতে আনা হয়েছে। এবিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।