নোটিশ:
শিরোনামঃ
বিজিবির পা ধরে ক্ষমা চাইলো বিএসএফ: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য চালু হচ্ছে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশীয় প্রযুক্তিতে রেল টার্ন টেবিল উদ্ভাবন করে আন্তর্জাতিক সম্মান পেলেন প্রকৌশলী তাসরুজ্জামান বাবু ইউরোপে নজিরবিহীন বিদ্যুৎ বিপর্যয় সরাসরি ট্রেন চালুর দাবিতে সড়ক অবরোধ: লালমনিরহাটে আন্দোলন তীব্র উপদেষ্টাদের এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: নিহত ৪০, আহত ১২০০, নেপথ্যে ইসরায়েল জাবিতে হামলার ঘটনায় ২৫৯ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক বরখাস্ত আন্ডারওয়ার্ল্ডের নতুন কৌশল: ‘মব’ সৃষ্টি করে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আধিপত্য

১২৩ থেকে ৪৭ তম বনাম ৪০ থেকে ৪৭ তম: অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে ছড়ানো দুটি দাবীই ভুয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১১৮ বার দেখা হয়েছে
১২৩ থেকে ৪৭ তম বনাম ৪০ থেকে ৪৭ তম: অন্তর্বর্তী সরকারের অর্জন নিয়ে ছড়ানো দুটি দাবীই ভুয়া

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিং নিয়ে দুটি ভিন্ন দাবি প্রচারিত হয়েছে। একটি দাবি অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকার মাত্র ৮ মাসে বাংলাদেশকে ১২৩ তম থেকে ৪৭তম ক্ষমতাধর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। অন্য একটি দাবিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আগে ৪০তম ছিল, ৮ মাসে পিছিয়ে এখন ৪৭তম হয়েছে। রিউমর স্ক্যানার নামে একটি ফ্যাক্ট চেকিং টিমের অনুসন্ধানে জানা যায় এর দুটি দাবীই মিথ্যা।

এই বিভ্রান্তিকর তথ্যের উৎস হিসেবে ইউএস নিউজ নামে একটি মার্কিন মিডিয়া সংস্থার র‍্যাঙ্কিংকে উল্লেখ করা হয়েছে। ইউএস নিউজ প্রতি বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশ্বের দেশগুলোর র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। তবে এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, ইউএস নিউজের সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিং ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল। এটি ২০২৪ সালের ২২ মার্চ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত করা জরিপের ভিত্তিতে তৈরি। অর্থাৎ, সর্বশেষ যে র‍্যাঙ্কিং ইউএস নিউজের ওয়েবসাইটে রয়েছে তা বাংলাদেশের বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হওয়া জরিপের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হয়েছিল। ওই র‍্যাঙ্কিংয়ে “পাওয়ার” ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪৭তম, আর সামগ্রিক অবস্থান ছিল ৭১তম।

আগের র‍্যাঙ্কিংগুলোর প্রেক্ষাপট
ইউএস নিউজের পূর্ববর্তী র‍্যাঙ্কিং বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ “পাওয়ার” ক্যাটাগরিতে ৪০তম স্থানে ছিল এবং সামগ্রিকভাবে ৬৯তম। এর আগের বছর, ২০২২ সালে, “পাওয়ার” ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪৪তম, আর সামগ্রিক অবস্থান ছিল ৭১তম।

রিউমর স্ক্যানার আরও নিশ্চিত করেছে যে ইউএস নিউজ প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে তাদের র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। ফলে ২০২৫ সালের র‍্যাঙ্কিং এখনও প্রকাশিত হয়নি। এটি সম্ভবত চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হবে।

১২৩তম অবস্থানের দাবি
একটি দাবিতে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ ১২৩তম অবস্থান থেকে উন্নীত হয়ে ৪৭তম স্থানে এসেছে। কিন্তু ইউএস নিউজের র‍্যাঙ্কিংয়ে কখনোই ১২৩টি দেশ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। বাংলাদেশ প্রথমবার র‍্যাঙ্কিংয়ে অন্তর্ভুক্ত হয় ২০২২ সালে, যখন তালিকায় ৮৫টি দেশ ছিল। ২০২৩ সালে তালিকায় ছিল ৮৭টি দেশ, আর ২০২৪ সালে ৮৯টি। ফলে এই দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন।

আসল সত্য
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, এই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর সূত্র একটি ফেসবুক পেজ এবং একটি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট। ২০২৫ সালের র‍্যাঙ্কিংয়ের দাবি করে প্রথম পোস্টটি করা হয় ১০ ফেব্রুয়ারি Asian SEA Story নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে। পরে, ৬ এপ্রিল Global Statistics নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে একই দাবি প্রচারিত হয়। এর পর থেকেই বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় আসে।

সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়া বাংলাদেশ সম্পর্কে এই দুটি দাবিই মিথ্যা। ইউএস নিউজের সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিং ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হয়, যা বিগত সরকারের সময় করা জরিপের ভিত্তিতে তৈরি। অর্থাৎ, অন্তবর্তী সরকারের ৮ মাসে ১২৩ তম হতে ৪৭তম হওয়া কিংবা ৮ মাসে ৭ পিছিয়ে ৪৭তম হওয়া সংক্রান্ত দুটো দাবিই ভুয়া।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT