জামালপুর জেলা জজ আদালতে আইনজীবী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একটি ধর্ষণ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা করেন বলে আন্দোলনকারীরা দাবি করেন। এর প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে অবস্থান নেন। শুনানি শেষে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়াল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান (৮০), অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়াল (৫৫), অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক (৪৭), অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম তরফদার (৫৫), আইনজীবী সহকারী রুকনুজ্জামান (৪০), শিক্ষার্থী ইমন (২০), ইশান (১৫), মোয়াজ (১৯), তারেক (২৩), শিশির (১৮) ও হৃদয় (২৩)।
সংঘর্ষের সময় আইনজীবীরা ইমন ও ইশান নামের দুই শিক্ষার্থীকে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ এসে তাদের নিরাপদে বের করে নিয়ে যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র মাহমুদুল হাসান বিবেক জানান, এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মিথ্যা প্রমাণের জন্য জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতির আশ্রয় নেন। এর প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা আদালতে অবস্থান নিলে কিছু আইনজীবী তাদের ওপর হামলা চালান। তিনি হামলাকারী আইনজীবীদের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানান।
অন্যদিকে, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিশাদ রেজওয়ান বাবু বলেন, শুনানি চলাকালে কিছু ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে আদালতে প্রবেশ করে আইনজীবীদের হুমকি দেয় এবং চারজন আইনজীবী আহত হন। সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইয়াহিয়া আল মামুন জানান, সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।