ভারতের লাদাখে রাজ্যের মর্যাদা ও ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তির দাবিকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুককে গ্রেপ্তার করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানী লেহে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এর আগে বুধবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং অন্তত ৯০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগ, ওয়াংচুক সাম্প্রতিক বিক্ষোভে উসকানি দিয়েছেন, যদিও তিনি তা অস্বীকার করে বলেছেন আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। গ্রেপ্তারের আগে তিনি জানান, হতাশ তরুণদের একটি অংশ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে সরে গিয়েছিল। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্য মর্যাদার দাবিতে টানা অনশনে বসা ওয়াংচুক ২৪ সেপ্টেম্বর ১৫ দিন পর অনশন শেষ করেন।
২০১৯ সালে সংবিধানের বিশেষ ধারা বাতিলের পর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হওয়া লাদাখে স্থানীয় নাগরিক সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ মিছিল ও অনশন চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি, পূর্ণ রাজ্য মর্যাদা দিতে হবে এবং ষষ্ঠ তফসিলের মাধ্যমে সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া নির্বাচিত সরকার ও স্থানীয় স্বশাসন ব্যবস্থার ক্ষমতা ফেরত চায় তারা।
মোদি সরকার ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে রাজ্য ভেঙে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করে দেয়—কাশ্মীর উপত্যকা, জম্মু ও লাদাখ। কাশ্মীর মুসলিমপ্রধান, জম্মু হিন্দুপ্রধান আর লাদাখে বৌদ্ধ ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায় সমানভাবে বসবাস করে। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকেই কেন্দ্রশাসিত অবস্থার বিরুদ্ধে লাদাখবাসীর আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে, যা সাম্প্রতিক ঘটনায় সহিংস রূপ নিয়েছে।