ইরানের তেহরানে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের খুতবায় আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আহমাদ খাতামি জায়নবাদী শাসনব্যবস্থাকে মোকাবিলা করার জন্য জাতিসংঘে আশ্রয় গ্রহণকে অপ্রচলিত সাব্যস্ত করে বলেছেন—এ ধরণের অপরাধ বিশ্বের সামনে ঘটছে; একমাত্র উপায় হলো শক্তি একত্রিত করে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং শাসনব্যবস্থাকে চূর্ণ করা।
তাঁর বক্তব্যে তিনি হাদিস ও ইতিহাস উদ্ধৃত করে বলেছেন, ‘যে ঢিল ছুঁড়ে মারে তার জবাব পাথরই’ — এবং বিশ্বের প্রধান নেতাদের প্রতি স্মরণ করিয়েছেন যে এই ‘ক্যান্সারের টিউমার’ ধ্বংস করা প্রয়োজন। তিনি শুধু কূটনৈতিক চাপ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে আবেদনকে সমর্থন করেননি, বরং ইসলামি দেশগুলোকে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে ছিন্ন করার সুপারিশ করেছেন।
খাতামি বিশ্বব্যাপী ‘সামুদ/সমুদ’ ত্রাণবহরেরও প্রশংসা করেছেন—তিনি বলেছিলেন, ৪৪টি দেশের ৭০টিরও বেশি জাহাজ ও শত শত অ্যাক্টিভিস্টের অংশগ্রহণ সীমান্ত, ধর্ম ও মতাদর্শ ছাড়িয়ে ঐক্যের দৃশ্য—এ বিষয়ে জাতিসংঘের কাছে সাম্প্রতিক উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতেও মানবিক প্রবাহকে সমর্থন করার কণ্ঠস্বরে প্রশংসা করেছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা সামুদ ত্রাণবহরের প্রতি সংহতি জানিয়েছে।
তবে তিনি হিজবুল্লাহকে নিক্ষেপ করার বিরোধিতাও উত্থাপন করেছেন—লেবাননের হিজবুল্লাহকে ধর্মীয় জগতের একটি শক্তিশালী হাত হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, এটিকে নিরস্ত্র করা ইসলামী বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক হবে; বরং এই শক্তিকে জায়নবাদী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা দরকার। এ বক্তব্য আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শক্তি সমীকরণে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত করতে পারে।
খাতামির এই বক্তৃতা মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক সাম্প্রতিক সংঘাত, ইসরায়েলি অভিযানের খবর এবং অঞ্চলের কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই এসেছে। সরকার-বান্ধব ও প্রতিক্রিয়াশীল মিডিয়ায় তাঁর উক্তিগুলো ব্যাপক রূপে প্রচারিত হয়েছে; একই সঙ্গে কিছু আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও প্রতিবেদন তাঁর উত্তেজক ভাষাকে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ানোর হিসেবে দেখেছে। WANA ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি তাঁর সমালোচনামূলক মন্তব্য ও ইসরায়েল-সংক্রান্ত তীব্র বিবৃতির খোঁজ দিয়েছে।