কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও ক্যালিগ্রাফি (গ্রাফিতি) প্রতিযোগিতা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের ১১৬ নম্বর কক্ষে ইবি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৭৭ জন স্কুল শিক্ষার্থী ও ৫ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অংশ নেন।
পরে যোহরের নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিলে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আজকের এই দিনে আবু সাঈদ শহীদ হয়েছিলেন। তার রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা তার ও সকল শহীদের জন্য দোয়া করছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, “জুলাই বিপ্লব স্মরণীয় করে রাখতে আমরা এই আয়োজন করেছি। শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে একটি গণআন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল যা স্বৈরশাসকের পতন ঘটায়।”
তিনি আরও বলেন, “যতদিন সরকার জুলাই বিপ্লবকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দেবে, ততদিন এই শহীদদের আন্দোলন ১৯৭১ সালের মতো প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা পাবে না। সাধারণ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হলে এই স্বীকৃতি অনিবার্য।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এসএম সুইট, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।