জাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
কুবিতে রোটারেক্ট ক্লাবের ‘সিভি ইন্জিনিয়ারিং মাস্টারক্লাস’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন ল্যান্ডিং গিয়ারে লুকিয়ে কাবুল থেকে দিল্লি এল আফগান কিশোর নিকাব না খুললে ‘জিরো মার্কস’-এর হুমকি দিলেন শিক্ষক, বেরোবি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ কণ্ঠনালীর হেটেরোটোপিয়া রোগের কারণে কি গান ছাড়ছেন তাহসান? কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষার্থীরা করপোরিডলারজ ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকেও অন্তর্ভুক্ত করতে চান মির্জা ফখরুল সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আব্দুল আজিজ আল-আল-শাইখ ইন্তেকাল করেছেন রাজবাড়ীতে বিএনপির জনসভা: তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান

জাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন

মো: নিশান খান, জাবি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২২ বার দেখা হয়েছে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।
 মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা দাবি করেন জাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ৮টি প্যানেলের মধ্যে ৫টি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। দুইজন নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। ভোট গ্রহণ চলাকালেই ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কারণে কয়েকজন স্বনামধন্য শিক্ষক নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অব্যবস্থাপনা, কারচুপির সিস্টেম, সমন্বয়হীনতা, মিসইনফরমেশন ও ডিজইনফরমেশনের ছড়াছড়ি সর্বোপরি একটি প্যানেল ও কিছু ব্যক্তিবিশেষকে জেতানোর লক্ষ্যে বিষয়টি নির্বাচনী প্রহসনে পরিণত হয়েছে। আমরা বারংবার প্রশাসন ও দায়িত্বশীলদের অবহিত করেও আমাদের অভিযোগগুলোর কোন সমাধান পাইনি।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আনা অভিযোগগুলো হলো ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও অমোচনীয় কালির ব্যবস্থা না থাকায় জালভোটের সুযোগ তৈরি; নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স পাঠানো, ভোটারের সংখ্যার চাইতে বেশি ব্যালট সরবরাহ এবং অতিরিক্ত ৩ হাজার ব্যালট ছাপানো; একটি নির্দিষ্ট দলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ব্যক্তির এক অখ্যাত প্রাইভেট কোম্পানি থেকে ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন কেনা; বিভিন্ন হলে জালভোট, ব্যালট পেপার নিচে পড়ে থাকা, প্রভোস্টদের সরাসরি হস্তক্ষেপ, এমনকি নারী সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া; নির্বাচনী আচরণ সম্পর্কে পোলিং অফিসারদের ধারণা কম থাকা; ভোটের সংখ্যা ও ঘোষিত ফলাফলের মধ্যে অসঙ্গতি; ব্যালটে অনেক প্রার্থীর নাম না থাকা, তাৎক্ষণিক নাম যোগ করা; বহিরাগতদের উপস্থিতি, প্রার্থীর এজেন্টদের হয়রানি এবং অধিকাংশ পোলিং অফিসারের অজ্ঞতা; নির্ধারিত সময় পেরিয়ে ভোটগ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ ও ভোটারের তালিকা প্রকাশ না করাও ছাত্রদল প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান বলেন, জাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণের শুভ সূচনার যে প্রত্যাশা, সার্বিকভাবে কারচুপি ও অব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই প্রত্যাশার অকাল মৃত্যু ঘটেছে। ফ্যাসিস্টের সময়ের নির্বাচন নামের প্রহসনের প্রক্রিয়াকে বিলুপ্ত করে আমরা একটি পরিচ্ছন্ন নির্বাচনী ব্যবস্থার যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই স্বপ্নও ভেঙ্গে গেছে। তারপরেও আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সার্বিক অনিয়ম সম্পর্কে প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবগত করেছি। কিন্তু তারা অভিযোগগুলোর বিষয়ে বিষয়ে কালক্ষেপন ও শৈথিল্য প্রদর্শন করছেন, দায় এড়ানোর মনোভাব দেখাচ্ছেন।
কী বলছে নির্বাচন কমিশন?
এদিকে, ছাত্রদলের আনা অধিকাংশ অভিযোগই মীমাংসিত বলে দাবি করেছেন জাকসুর নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিবের বরাতে জানা যায়, প্রত্যেক হলেই ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পূর্বে হল সংসদের প্রার্থী ও উপস্থিত ভোটারদের সামনে ব্যালট বক্স দেখানো হয়েছে। যার অসংখ্য প্রমাণ গণমাধ্যমে আছে। এছাড়া যতজন ভোটার ঠিক ততটি ব্যালট ছাপানোর যায় না। ছাপাতে হলে বান্ডিল অনুসারে ছাপাতে হয়। অর্থাৎ কোনো হলে ৩৮০ জন ভোটার থাকলে সেখানে ৩৮০ টি ব্যালট ছাপানো যায় না। এখানে ৪০০ টি ছাপিয়ে বান্ডিল পুরো করতে হয়। প্রত্যেক হলের ভোট প্রদান কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি স্থানে লাইভ টেলিকাস্ট করা হয়েছে। এখানে জালভোট প্রদানের সুযোগ নেই। এরপরেও স্পেসেফিক কোনো কেস থাকলে নির্বাচন কমিশন সেটি খতিয়ে দেখবে।
শহীদ রফিক-জব্বার হলের ভোটের সংখ্যা ও ফলাফলে অসঙ্গতির অভিযোগের বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষ জানায়, ভোটের সংখ্যায় কোনো সমস্যা হয়নি। রিটানিং অফিসাররা ভোট গনণার সময় ভুলে ৪২ কে ৮২ উচ্চারণ করেন। যার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে দায়িত্বরত বিভিন্ন হলের রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানান, ভোটের পূর্বে প্রত্যেক অফিসারকেই নির্বাচন বিধি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক ভোটার তালিকায় নাম যোগ করার কোনো স্পেসিফিক অভিযোগ কারও নামে আসেনি। এছাড়া প্রার্থীর এজেন্টদের হয়রানির অভিযোগ মিথ্যা। এছাড়া ভোটারের উপস্থিতি বেশী থাকায় রীতি অনুসারে কয়েকটি হলে নির্ধারিত সময়ের পর ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT