ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম ব্যাচকে বিদায় ও সপ্তম ব্যাচকে বরণ করে নিতে আয়োজিত হলো ‘ফ্রেশার্স রিসেপশন অ্যান্ড ফেয়ারওয়েল ২০২৫’। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, সরাসরি শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অংশ নিতে পেরে তিনি আনন্দিত। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকরা শিক্ষা ও প্রশাসন উভয় ক্ষেত্রেই কৃতিত্ব দেখিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাস্তবধর্মী শিক্ষা সমাজবিজ্ঞানে অন্তর্ভুক্ত থাকায় শিক্ষার্থীরা অর্জিত জ্ঞান ভালোভাবে প্রয়োগ করতে পারে। প্লেটো, সক্রেটিস, ইবনে খালদুন ও এমিল ডুরখেইমের জ্ঞানের আলোকে সমকালীন সমাজের অস্থিরতা ব্যাখ্যা করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উপাচার্যের মতে, সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা বিসিএসে ভালো করছে এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীরাও কর্মক্ষেত্রে সফল হবে। নবীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিয়মিত ক্লাস করলে ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদিন সিদ্দিকী, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, রেজিস্ট্রার (ইন-চার্জ) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিয়াজুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় প্রধান মো. মাসুদুর রহমান। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্রভাষক সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রভাষক খাদিজা খাতুন ও রাশেদ হোসেন।
বিভাগীয় প্রধান মো. মাসুদুর রহমান আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের পরিশ্রম ও আগ্রহ অনুষ্ঠানকে সফল করেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরি ও সেমিনারমুখী করতে নতুন ২৫০ বই সংযোজন এবং নতুন সিলেবাস প্রবর্তনের ঘোষণা দেন। নবীনদের স্বাগত জানিয়ে ও বিদায়ীদের জন্য শুভকামনা জানিয়ে তিনি আশ্বাস দেন, শিক্ষকরা সর্বোচ্চ দিয়ে বিভাগকে এগিয়ে নেবেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। পরে প্রথম ও সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা তুলে ধরে। শেষে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয় এবং নবীনদের পক্ষ থেকেও তিনজনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সন্ধ্যায় নাচ, গান ও নাটকসহ শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফ্রেশার্স ও ফেয়ারওয়েলের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নতুন সিলেবাসের মোড়ক উন্মোচনও করা হয়।