আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিবেশী দেশের যেকোনো হস্তক্ষেপকে গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির মতে, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব কেবল জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে চীনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠকে এই অবস্থান তুলে ধরা হয়। বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চীনা পিপলস ইনস্টিটিউট ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝো পিংজিয়ানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল জামায়াতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ডা. শফিকুর রহমান সুস্থ হওয়ার পর এটিই ছিল বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। এতে তারা পারস্পরিক সম্পর্ক, বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে জামায়াত আমির অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দমন-পীড়ন, দুর্নীতি ও জুলুমের শিকার হয়েছে দেশ। তিনি জানান, জামায়াত সবসময় নির্বাচনী রাজনীতিতে অংশ নিয়ে এসেছে এবং আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে। পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দেন, জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় গেলে জামায়াত শাসক নয়, বরং সেবকের ভূমিকায় দেশ পরিচালনা করবে।
চীনা প্রতিনিধি দলের প্রধান ঝো পিংজিয়ান বলেন, বাংলাদেশ চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। জনগণের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চায় চীন।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে জামায়াতের অন্যান্য শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।