
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও এলসেভিয়ার প্রকাশিত তালিকায় স্থান পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান
বিশ্বের সেরা দুই শতাংশ বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষক। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত তালিকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান স্থান পেয়েছেন।
তথ্য অনুযায়ী, ড. মিজানুর রহমান মাইক্রোবায়োলজি, এগ্রিকালচার, প্লান্ট সায়েন্স, ইকোলজি ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করছেন। তার মোট সাইটেশন ৩ হাজার ৮৬। অপরদিকে, ড. হাবিবুর রহমান বায়োইনফরমেটিক্স, মেশিন লার্নিং, এনজিএস অ্যানালাইসিস ও ড্রাগ ডিসকভারি নিয়ে কাজ করছেন। তার বর্তমান সাইটেশন ২ হাজার ৩৩৬। গবেষকদের সাম্প্রতিক কার্যক্রম ও সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবছর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
অর্জন সম্পর্কে ড. হাবিবুর রহমান বলেন, “বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পাওয়া শুধু আমার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবের বিষয়। এটি প্রমাণ করে যে আমাদের দেশ থেকেও বিশ্বমানের গবেষণা করা সম্ভব।”
অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, “এটি আমাদের বিভাগ থেকে শুরু করে পুরো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের। বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু আমি নই, আরও অনেক গবেষক কাজ করছেন। যদি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সহযোগিতা করে, তবে আমরা গবেষণা কার্যক্রমকে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যারা প্রকৃতপক্ষে গবেষণা করেন তাদের যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সবাইকে একসঙ্গে কাজ দেওয়া হয়। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা সেল গঠন করে সঠিকভাবে কাজের বণ্টন করা যায়, তবে আমাদের গবেষণা আরও সমৃদ্ধ হবে।”
উল্লেখ্য, এলসেভিয়ার প্রতিবছর বিশ্বের সেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটি বছরে দুই হাজারের বেশি জার্নাল প্রকাশ করে এবং তাদের আর্কাইভে সাত মিলিয়নেরও বেশি প্রকাশনা সংরক্ষিত রয়েছে। মূলত চিকিৎসা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণাপত্র, বই ও জার্নাল প্রকাশ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।