উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় নিহতদের স্মরণে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান।
উল্লেখ্য, গতকাল (সোমবার) দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জন।
আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন মিঝি বলেন, “উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম হৃদয়বিদারক ঘটনা। যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তাদের সুস্থতা কামনা করছি। কোনো দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের আগে আমাদের উচিত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দোয়া করা। জাতীয় সংহতিকে বিনষ্ট করতে পারে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে।”
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “এক বছর না যেতেই ঢাকায় যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, তারা বিগত সরকারের সহযোগী। সেখানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আমাদের ছোট ভাই সাজিদের হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে সার্বিক আন্দোলন চলছে। তবে আন্দোলনের আড়ালে কেউ যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে না পারে কিংবা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাজিদের হত্যার বিচার না হলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হাজার শিক্ষার্থী অনিরাপদ হয়ে পড়বে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ছাত্র সংগঠনগুলো ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।”