ইসরাইলি হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার, ১৩ জুন ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরান ও এর আশেপাশে ইসরাইলের বিমান হামলায় ইরানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আইআরজিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই হামলায় হাজিজাদেহ শহীদ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাকেরি, ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, ইরানের খাতামুল আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রশিদ এবং কমপক্ষে ছয়জন ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছেন, “এই হামলার জন্য তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। এই অপরাধের মাধ্যমে, ইসরাইল নিজেদের জন্য একটি তিক্ত, বেদনাদায়ক পরিণতি সৃষ্টি করেছে যা তারা অবশ্যই দেখতে পাবে।”
ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এই হামলাকে “নৃশংস আগ্রাসন” এবং “আন্তর্জাতিক নিয়ম ও প্রথার চরম লঙ্ঘন” আখ্যায়িত করেছে। হামাস শুক্রবার (১৩ জুন) টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, ইসরাইলের এই আগ্রাসন অঞ্চলে বিপজ্জনক উত্তেজনা সৃষ্টি করছে এবং অস্থিতিশীলতার হুমকি দিচ্ছে। এটি চরমপন্থী নেতানিয়াহু সরকারের মধ্যপ্রাচ্যকে উন্মুক্ত সংঘাতের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার জেদের প্রতিফলন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, এই হামলা আবারও প্রমাণ করেছে যে ইসরাইল সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি হুমকি। হামাস ইরানের প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছে এবং নিহত সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের মৃত্যুতে দেশটির নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে। একই সঙ্গে হামাস ইসরাইলকে প্রতিহত করতে এবং এর অপরাধ বন্ধ করতে বিশ্বের প্রতি একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।