কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের বৈঠককে লক্ষ্য করে ইসরায়েল মঙ্গলবার ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজার যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনার সময়ে এই হামলা হয়।
ইসরায়েল দাবি করেছে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতেই হামলা চালানো হয়েছে এবং হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বকে দুর্বল করা ছিল এর উদ্দেশ্য। তবে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত নেতারা বেঁচে আছেন। এখনো হতাহতের বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। আরব মিডিয়ার কিছু সূত্রে শীর্ষ নেতা নিহত হওয়ার খবর দিলেও হামাস তা অস্বীকার করেছে।
হামলার ঘটনায় কাতার সরকার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দোহা একে আন্তর্জাতিক আইন ও কাতারের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে। দেশটি জানিয়েছে, এটি ভয়ঙ্কর ও অগ্রহণযোগ্য আক্রমণ। একই সঙ্গে মধ্যস্থতার উদ্যোগও কাতার স্থগিত করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই হামলাকে নিন্দা করে বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
হামলার পরপরই সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও ইরানসহ একাধিক দেশ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা বলছে, এই আঘাত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করছে এবং সংঘাত আরও বাড়িয়ে তুলবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশীদার যেখান থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিল, ঠিক সেই বৈঠকের সময়ে এমন হামলা হওয়ায় কূটনৈতিক প্রক্রিয়া এখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
ইসরায়েল বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় হামাসের ভূমিকার দায়ে নেতৃত্ব পর্যায়কে চাপে রাখাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, এ ধরনের আক্রমণ শান্তি প্রক্রিয়াকে ভেঙে দিতে পারে এবং কাতারসহ সমগ্র অঞ্চলে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে।