বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য ছাত্র সংসদের দাবি তুলেছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে বসলে অবশেষে সম্ভাব্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (৩১ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য আমরণ অনশনে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে উপাচার্য প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম এ সম্ভাব্য রোডম্যাপ প্রকাশ করেন।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংবিধির খসড়া প্রণয়ন করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) পাঠানো হবে। সরকার কর্তৃক গেজেট প্রকাশের তিন কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। পরবর্তী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণীত হবে।
এরপর ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত, আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি সম্পন্ন হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশের পাঁচ কর্মদিবস পর নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ১৬ কর্মদিবসের মধ্যে সংবিধি অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বিতরণ, দাখিল, যাচাই-বাছাই, প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, প্রত্যাহার এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের প্রক্রিয়া শেষ হবে।
চূড়ান্ত প্রার্থিতা ঘোষণার পর ১০ কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করতে হবে। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সম্ভাব্য ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে উপাচার্য প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “ছাত্র সংসদ নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয়। শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চা, নেতৃত্ব বিকাশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করার জন্য এই নির্বাচন অত্যাবশ্যক। আমরা চাই নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধিত্ব নিজেরাই বেছে নিক। তবে এ জন্য সরকারের গেজেট প্রকাশ জরুরি। গেজেট প্রকাশের পরই সম্ভাব্য রোডম্যাপ অনুযায়ী সমস্ত কার্যক্রম শুরু হবে। আমি আশা করি, শিক্ষার্থীরাও ধৈর্য ধরবেন এবং দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তরিকভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে প্রস্তুত।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য ছাত্র সংসদ গঠনের দাবির প্রেক্ষিতে এ সম্ভাব্য রোডম্যাপ প্রকাশকে প্রাথমিক বিজয় হিসেবে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে সমর্থনকারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।