হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শায়েখ হারুন ইজহারের মতে, পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, “আজ তারা সেনা প্রত্যাহারের কথা বলছে, কাল স্বায়ত্তশাসনের দাবি তুলবে, এরপর বাঙালি উচ্ছেদের পরিকল্পনা করবে, আর সর্বশেষ তাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশকে খণ্ডিত করে পাহাড়ে স্বাধীনতার দাবি করা।”
আজ চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের সামনে উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে মুফতি হারুন ইজহার এসব কথা বলেন। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মীর ইদরীস নদভী, চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশন সভাপতি এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কামরুল ইসলাম, আলহাজ শামছুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন, বিশিষ্ট আইনজীবী মুস্তফা নূর, দাওয়াহ্ মুভমেন্টের চট্টগ্রাম সমন্বয়ক আইমান কাসির ও হেফাজতে ইসলাম মহানগর ও উত্তর ও দক্ষিণ জেলার নেতৃবৃন্দ।
মুফতি হারুন ইজহার অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশের বামপন্থী সেকুলার মহল ভারতের প্রেসক্রিপশনের এই পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে সরাসরি রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থান নিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। বিচ্ছিন্নতাবাদ দমনে তারা যেমন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না, তেমনি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার প্রতিরোধ করতেও তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার পরিবর্তে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তথাকথিত ‘জঙ্গিবাদের ফোবিয়ায়’ ভুগছে। ফলে প্রকৃত হুমকি, বিচ্ছিন্নতাবাদ অগ্রাহ্য হচ্ছে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ সংকেত।”
মুফতি হারুন ইজহার দীর্ঘ দুই বছর এক মাস কারাভোগের পর ২০২৩ সালের মে মাসে জামিনে মুক্ত হন। তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর পুত্র ও নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মোহতামিম আল্লামা মুফতি হাবিবুর রহমান কাশেমীর জামাতা।
মুফতি হারুন ইজহারের বক্তব্যে স্পষ্টভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কার্যক্রমের প্রতি সমালোচনা করে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।