জুলাই গণহত্যা মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজ রোববার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। অনুমতি পেলে, মামলার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করতে পারে টেলিভিশন।
গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। মামলার এক আসামি, সাবেক আইজিপি আল-মামুন, অপরাধ স্বীকার করে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হতে চাওয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
সাক্ষীর সংখ্যা অনেক হলেও গুরুত্বপূর্ণ ২০ থেকে ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা ও কামালকে পলাতক ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়, কিন্তু তারা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারত পালানোর পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ের করা প্রথম মামলাটি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা রয়েছে—একটি গুম ও হত্যার অভিযোগে এবং অপরটি ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হতাহতের ঘটনায়।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই গণহত্যার মামলায় শীর্ষ অভিযুক্তদের বিচার শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত চারটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি নির্দেশনার প্রমাণ মিলেছে। আজকের সাক্ষ্যপর্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, সাংবাদিক ও আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা উপস্থিত থাকবেন।