২০২৫ সালের এএসএসসি পরীক্ষার সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে ১ হাজার ৩০০ নম্বরের মধ্যে ১ হজার ২৩০ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়েছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী তাসফিয়া তাইমুম তুশিন। সে উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের গোপালপুর ব্যাপারীটারী এলাকার তাজুল ইসলাম ও রাশেদা পারভীন দম্পতির মেয়ে। তার বাবা উপজেলার গাগলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং মা গৃহিনী। দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে ২০২৫ সালের এসএসসি পরিক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিয়ে সে এই সাফল্য অর্জন করে। তার এই সাফল্যে বাবা, মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রতিবেশি ও আত্মীয়-স্বজনসহ সবাই খুশি।
এ বিষয়ে তুশিনের সাথে কথা হলে সে জানায়, আমি প্রথমে জানতামই না যে আমি এত নম্বর পেয়েছি। আমি জানতে পারি যে জিপিএ-৫ পেয়েছি। পরে সন্ধ্যায় যখন জানলাম যে উপজেলায় সর্বোচ্চ নাম্বারে আমি উপজেলায় দ্বিতীয় তখন তো আমি খুশিতে আত্মহারা। এতটা ভালো রেজাল্ট আসবে ভাবতেও পারিনি। তবে এই অর্জন আমার একার না, এ অর্জন আমার বাবা-মা ও পিতৃতুল্য স্যারদের পরিশ্রম, শাসন, দোয়া ও ভালোবাসার জন্যই হয়েছে। তাঁদের দিকনির্দেশনা আর উৎসাহ উদ্দীপনায় আমি আজ ভালো রেজাল্ট করতে পেরেছি। এজন্য সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা রইলো। ভবিষ্যতে যেনো আমি এই সাফল্য ধরে রাখেতে পারি। আমার স্বপ্ন আমি ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাই। এজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
তার বাবা তাজুল ইসলাম জানায় নিয়মিত স্কুলের শিক্ষকদের আন্তরিকতা আর নির্দেশনায় মেনেই পড়াশোনা করেছে। শিক্ষকদের আন্তরিকতা আর গাইডলাইনের কারণেই তার এমন সাফল্য এসেছে। মেয়ের এই অর্জনে শুধু আমি না আমাদের পরিবারে যারা আছেন তারা এতটাই খুশি যে বলে বোঝাতে পারব না।
ফলাফলে আনন্দিত তুশিনের মা বলেন, আজকে তার এই অর্জনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। যেনো আমি নিজেই এই ফলাফল পেয়েছি। সন্তানের এই সাফল্যে নিজের প্রতি গর্ব হয়। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।
উপজেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, আমাদের বিদ্যালয় থেকে সে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। এজন্য তার প্রতি অভিনন্দন ও দোয়া রইলো। ভবিষ্যতে তার এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।