বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের গাজায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে, অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার ঠিক আগে সকাল সাড়ে আটটার দিকে শিল্পী ও দর্শনার্থীরা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। এরপর ছায়ানটের শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন, যা দিয়ে শেষ হয় এবারের বর্ষবরণ আয়োজন।
নীরবতা পালনের আগে ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, “গাজায় চলমান ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ও গণহত্যা, বিশেষ করে শিশু হত্যার বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনের মানুষ তাদের স্বাধীনতার জন্য যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন, আমরা তার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।” তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের স্মরণে উপস্থিত সবাইকে এক মিনিট নীরবতা পালনের আহ্বান জানান।
এবার ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। আলো, প্রকৃতি, মানুষ ও দেশপ্রেমকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছিল সংগীতানুষ্ঠানটি।
এদিকে বরাবরের মতো উৎসবের রঙিন আবহ থাকলেও এবার বর্ষবরণে দেখা গেছে প্রতিবাদের ছাপ। সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হওয়া ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’য় অংশ নেন হাজারো মানুষ। শোভাযাত্রায় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতীকী মুখাবয়ব এবং জুলাই আন্দোলনে নিহত মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের স্মরণে ‘পানি লাগবে পানি’ শিরোনামে একটি মোটিফ তুলে ধরা হয়।
বিষয়: পহেলা বৈশাখ