ওয়াশিংটন থেকে জানা গেছে, গাজার জন্য যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনা নিয়ে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
উইটকফ কোনও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করে ফক্স নিউজকে বলেন, “আজ হোয়াইট হাউসে আমাদের একটি বড় বৈঠক আছে, এর সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট। এটি একটি অত্যন্ত বিস্তৃত পরিকল্পনা যা আমরা পরের দিনের জন্য প্রস্তুত করছি।” তিনি আরও বলেন, এই পরিকল্পনার শক্তি, কার্যকারিতা এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব মানুষ ধীরে ধীরে দেখতে পারবে।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ইসরায়েলের উপর হামাসের আক্রমণের পর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই হামলায় সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১,২১৯ জন নিহত হন, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক। হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি প্রতিশোধমূলক হামলায় কমপক্ষে ৬২,৮১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যা জাতিসংঘ বিশ্বাসযোগ্য মনে করছে।
এর আগে, ট্রাম্প এই বছরের শুরুতে বিশ্বকে চমক দিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া উচিত, দুই মিলিয়ন বাসিন্দাকে সরিয়ে দেওয়া উচিত এবং সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় রিয়েল এস্টেট নির্মাণ করা যেতে পারে। তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংসস্তূপ এবং অবিস্ফোরিত বোমা অপসারণ করবে এবং গাজাকে “মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা” হিসেবে গড়ে তুলবে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের প্রস্তাবকে প্রশংসা করেছেন, তবে অনেক ইউরোপীয় ও আরব রাষ্ট্র এটি তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে।
উইটকফ মঙ্গলবার বৈঠকে যে পরিকল্পনাটি তুলে ধরেছেন, তার বিস্তারিত বিবরণ দেননি, তবে এ বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য আশ্বাস দিয়েছেন যে এটি কার্যকর এবং ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।