আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার গাজার হাসপাতালগুলো নিহতদের বিষয়টি নিশ্চিত করে। পাশাপাশি দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টিজনিত কারণে আরও ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
গাজার গণমাধ্যম কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর গাজার জিকিম পয়েন্টে ত্রাণবাহী ট্রাক থেকে সহায়তা সংগ্রহ করতে আসা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী গোলাবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৫১ জন, আহত হন ৬৪৮ জনেরও বেশি।
এছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কাছে মোরাগ করিডর এলাকায় ত্রাণ নিতে গিয়ে আরও ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ নামে একটি বিতর্কিত ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়। এই ফাউন্ডেশনের বিতরণকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ঘাটতি ও পর্যাপ্ত সহায়তার অভাবে ইতোমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ফলে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো এই উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করছে।
গাজায় বর্তমানে চরম খাদ্যসংকট ও অপুষ্টিজনিত দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত অপুষ্টিতে মারা গেছেন ১৫৪ জন, যার মধ্যে ৮৯ জনই শিশু। তাদের বেশিরভাগের মৃত্যু ঘটেছে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে।
এক আন্তর্জাতিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় এখন দুর্ভিক্ষ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
এদিকে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণ প্রয়োজন তার সামান্যই প্রবেশ করছে। মুখপাত্র আদনান আবু হাসনা জানান, প্রতিদিন গাজায় ৫০০–৬০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করা প্রয়োজন হলেও গত চার দিনে প্রবেশ করেছে মাত্র ২৬৯টি ট্রাক। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।