০৬ আগস্ট ২০২৫
মঙ্গলবার এক পোস্টে ইউনিসেফ জানায়, এই মৃত্যুর পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে—বোমাবর্ষণ, অপুষ্টি, অনাহার এবং জরুরি চিকিৎসা না পাওয়া। তারা উল্লেখ করে, প্রতিদিন গাজায় যত শিশু মারা যাচ্ছে, তা একটি সাধারণ শ্রেণিকক্ষে থাকা শিক্ষার্থীর সংখ্যার সমান। এই সংকট থেকে শিশুদের বাঁচাতে জরুরি খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ এবং সর্বোপরি যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলে জানায় ইউনিসেফ।
পোস্টে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ১৮ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে—যা গড়ে প্রতি ঘণ্টায় একজন শিশুর মৃত্যু।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৬০ হাজার ৯৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮ জন, যার মধ্যে একজন শিশু। এছাড়া ইসরায়েল কর্তৃক মানবিক সহায়তা বন্ধের পর অনাহারে প্রাণ হারিয়েছে ১৮৮ জন, যাদের মধ্যে ৯৪ জনই শিশু।
গাজায় এই যুদ্ধ শিশুদের ওপর ভয়াবহ মানসিক প্রভাব ফেলছে। বাস্তুচ্যুত এক শিশুর উদাহরণ দিয়ে ইউনিসেফ জানায়, ১০ বছর বয়সী লানার চুল ও ত্বক সাদাটে হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘ট্রমা-ইনডিউসড ডিপিগমেন্টেশন’ নামক মানসিক ট্রমার কারণে তার ত্বকে মেলানিন হ্রাস পেয়েছে।
‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক আহমাদ আলহেনদাওয়ি বলেন, “গাজা এখন শিশুদের জন্য একটি কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। এই প্রজন্ম স্বপ্ন দেখার আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ফেলছে। তারা মনে করছে, পৃথিবীর বাকি মানুষ তাদের পাশে নেই।”