গাজায় প্রতিদিন ২৮ শিশু নিহত, গাজা হয়ে উঠছে শিশুদের কবরস্থান: ইউনিসেফ - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
রাকসু নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন আজ, পরশু ভোটগ্রহণ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কুবি শাখার নেতৃত্বে মাসুম–সাইদুল সড়ক সংস্কার ও রেলপথ চালুর দাবিতে উপাচার্য বরাবর ইবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি প্রদান গাছের সুরক্ষায় গ্রীন ভয়েস সদস্যদের হাতে পাঁচ প্রকার সামগ্রী প্রদান করলেন অধ্যক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি আবেদন শুরু ২৯ অক্টোবর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিক্যাল সেবার সময় রাত ৮টা পর্যন্ত বাড়ানো হলো রাবিতে নবীনবরণ: শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনা বাস্তবায়নে যুক্তি ও শৃঙ্খলার আহ্বান উপাচার্যের জাবিতে প্রাণ রসায়ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা বিদেশে নতুন আগত বাংলাদেশিদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফজলে এলাহী

গাজায় প্রতিদিন ২৮ শিশু নিহত, গাজা হয়ে উঠছে শিশুদের কবরস্থান: ইউনিসেফ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ১১৯ বার দেখা হয়েছে

০৬ আগস্ট ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন গড়ে ২৮টি শিশুর মৃত্যু ঘটছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। অব্যাহত বিমান হামলা, খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা বন্ধ এবং চরম মানবিক সংকট এই মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার  এক পোস্টে ইউনিসেফ জানায়, এই মৃত্যুর পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে—বোমাবর্ষণ, অপুষ্টি, অনাহার এবং জরুরি চিকিৎসা না পাওয়া। তারা উল্লেখ করে, প্রতিদিন গাজায় যত শিশু মারা যাচ্ছে, তা একটি সাধারণ শ্রেণিকক্ষে থাকা শিক্ষার্থীর সংখ্যার সমান। এই সংকট থেকে শিশুদের বাঁচাতে জরুরি খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ এবং সর্বোপরি যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলে জানায় ইউনিসেফ।

পোস্টে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ১৮ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে—যা গড়ে প্রতি ঘণ্টায় একজন শিশুর মৃত্যু।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৬০ হাজার ৯৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮ জন, যার মধ্যে একজন শিশু। এছাড়া ইসরায়েল কর্তৃক মানবিক সহায়তা বন্ধের পর অনাহারে প্রাণ হারিয়েছে ১৮৮ জন, যাদের মধ্যে ৯৪ জনই শিশু।

গাজায় এই যুদ্ধ শিশুদের ওপর ভয়াবহ মানসিক প্রভাব ফেলছে। বাস্তুচ্যুত এক শিশুর উদাহরণ দিয়ে ইউনিসেফ জানায়, ১০ বছর বয়সী লানার চুল ও ত্বক সাদাটে হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘ট্রমা-ইনডিউসড ডিপিগমেন্টেশন’ নামক মানসিক ট্রমার কারণে তার ত্বকে মেলানিন হ্রাস পেয়েছে।

‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক আহমাদ আলহেনদাওয়ি বলেন, “গাজা এখন শিশুদের জন্য একটি কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। এই প্রজন্ম স্বপ্ন দেখার আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ফেলছে। তারা মনে করছে, পৃথিবীর বাকি মানুষ তাদের পাশে নেই।”

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT