
গাজায় মুসলিমদের হত্যার পেছনে কি শুধুই ইসরাইল দায়ী? আমি মোটেই তেমনটি মনে করিনা।
মিশরের যে পরিমান সামরিক শক্তি রয়েছে তাতে মিশর চাইলে ভিন্ন কোনো দেশের সাহায্য ছাড়া একাই ইসরাইলকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে পারে।
এই মিশর নামক দেশটির বর্তমান শাসক সিসি, যিনি ক্ষমতায় আসার পর রাফা ক্রসিংয়ে পরিখা খনন করে ১৫০০ টানেল ধ্বংস করেছেন!
যেগুলোর মাধ্যমে মিশর থেকে গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী গোপনে নিয়ে যেত হামাস।
গাজা যখন ইসরাইলের বোমায় ক্ষতবিক্ষত তখন সারা দুনিয়ার অনুরোধের সত্তেও রাফা ক্রসিং উন্মুক্ত করেনি এই মিশর।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে টু শব্দটি না করা, মেরুদন্ডহীন মিশরীয় সেনাবাহিনী শুধু নিজের দেশের তৌহিদি জনতাকেই পাখির মত গুলি করে মারতে শিখেছে।
গাজার গনহত্যায় প্রতিটি জীবন ঝরে যাওয়ার পিছনে মিশর নামক রাষ্ট্রটিরও বিশাল অবদান রয়েছে।
জর্ডান, ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী। ইরান যখন মিসাইল বৃষ্টি নিক্ষেপ করেছিল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে,
এই দেশটি তখন নিজস্ব এয়ার ডিফেন্স দিয়ে ইরানের মিসাইলগুলো ভূপাতিত করে যাতে সেগুলো ইসরাইলে আঘাত না করে।
এরা নিজেদের সীমান্ত দিয়ে এক টুকরা রুটিও গাজায় ছুঁড়ে মারেনা অথচ বাসমতি চালের বিরিয়ানির সাথে উটের গ্রিল খাওয়ার রিলস ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঠিকই আপলোড করে।
ধিক জর্ডানের ক্ষমতালোভী মুনাফেক শাসকের প্রতি!
গাজার গনহত্যায় সহযোগিতাকারী হিসেবে যে দেশকে কিয়ামতে আল্লাহর কাঠগড়ায় সবার আগে দাঁড়াতে হবে সেটা হলো সৌদি আরব।
এই সৌদির তেল নিয়েই আমেরিকা আর ইসরায়েলের বিমানগুলো আকাশে উড়ে, ওদের ট্যাংক চলে৷
শুধু সৌদি নয় বরং আরব আমিরাত, বাহরাইন, ওমান, কুয়েতও এই তালিকায় যুক্ত।
এই দেশগুলো OPEC (Organization of Petroleum Exporting Countries) নামক বিশ্বের অন্যতম একটি শক্তিশালী জোটের প্রধান শক্তি। এরা চাইলেই পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইসরায়েলের উপর তেল অবরোধ আরোপ করতে পারে যেভাবে ১৯৭৩ সালে করেছিল।
এটা করলে আমেরিকাসহ পশ্চিমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা, কল-কারখানা, অর্থনীতি সবকিছুতে লালবাতি জ্বলে যেত।
ওরা বাপ বাপ করে এসে মুসলিমদের পায়ের কাছে পড়ে থাকতো। ইসরায়েল নামক রাষ্ট্রটি হামলা করা তো দূরের কথা, তেলের অভাবে ওদের ঘরের বাতিটিও জ্বলতোনা।
অথচ এরা দেদারসে তেল বিক্রি করে যাচ্ছে। এদের কাজ একটাই, তেল বিক্রির টাকা দিয়ে ভালো ভালো খেয়ে নিজেদের ভুড়ি বাড়ানো আর সামান্য একটু ইসরায়েলের নিন্দা করা ব্যাস!!!
গাজায় গণহত্যার পিছনে প্রতিটা মুসলিম দেশের শাসকরাও দায়ী, যারা ঐক্যবদ্ধভাবে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে৷
প্রতিটা মুসলিম দেশের সেসব মুসলিমরাও দায়ী যারা নিজেদের শাসককে চাপ দিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করেনা।
সেসব মুসলিমরাও দায়ী যারা ইসরায়েলি কম্পানিগুলোর পণ্য কিনে ইসরায়েলকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করে।
গাজায় হামলার জন্য যদি আল্লাহ গজব পাঠান তবে সেটা ইহুদিদের আগে এইসমস্ত নামধারী মুনাফেক মুসলিমদের উপরেই আগে আসবে যার ভবিষ্যত বাণী করে গিয়েছেন তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় নাজিমুদ্দিন এরবাকান।
- দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
- দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd