দীর্ঘ ১৬ বছর বন্ধ থাকার পর দেশের সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা আবার চালু হচ্ছে। আগামী ২১ থেকে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একাডেমিক ইতিহাসে এই পদক্ষেপ আবারও মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে উৎসাহ ও স্বীকৃতির মূলধারায় ফেরানোর এক সাহসী প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণক অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান গতকাল (৬ আগস্ট) স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ ঘোষণা দেন। এতে বলা হয়, ইবতেদায়ি বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে পাঁচটি বিষয়ের ওপর— কুরআন মাজিদ ও আকাইদ-ফিকহ, আরবি (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র), বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান। প্রতিটি বিষয়ে ১০০ নম্বর করে মোট ৫০০ নম্বরের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা থেকে পঞ্চম শ্রেণির সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে। বিস্তারিত সিলেবাস ও মানবণ্টন খুব শিগগিরই মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশ করা হবে বলে অফিস আদেশে জানানো হয়েছে।
এর আগে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন পর ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীরাও এই প্রক্রার অধীনে বৃত্তির সুযোগ পাচ্ছে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত হারে মাসিক বৃত্তি পাবেন এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি কার্যক্রমে অগ্রাধিকার পাবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ‘প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা’ (পিইসি) চালুর পর থেকেই আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ সময়ের সেই শূন্যতা এবার পূরণ হচ্ছে। এতে ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে এবং তাদের শিক্ষায় উৎসাহ বাড়বে বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।