ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ঐতিহ্যবাহী ও অন্যতম বৃহৎ আবাসিক হল জহুরুল হক হলে আবাসিক শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে জুতা রাখার জন্য র্যাক বিতরণ করেছে হল প্রশাসন। প্রতিটি কক্ষের সামনে নির্ধারিতভাবে এসব র্যাক স্থাপন করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলভাবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে নিজেদের জুতা রাখতে পারেন।
হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের আবাসন পরিবেশ আরও গোছানো ও স্বাস্থ্যসম্মত করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। করিডোরজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জুতা এতদিন ধরে চলাচলে বিঘ্ন ও পরিবেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছিল। র্যাক স্থাপনের মাধ্যমে সে সমস্যার কার্যকর সমাধান করা হচ্ছে।
উদ্যোগটি শিক্ষার্থীদের মাঝে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। অনেকেই এ পদক্ষেপকে সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, র্যাক ব্যবহারে কক্ষের সামনের পরিবেশ থাকবে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন, একইসঙ্গে জুতা খুঁজে পেতেও সময় নষ্ট হবে না।
তবে এর মধ্যে কিছু সীমাবদ্ধতার কথাও উঠে এসেছে শিক্ষার্থীদের অভিমত থেকে। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, অনেক শিক্ষার্থী এখনো পুরনো অভ্যাস ত্যাগ করতে না পারায় র্যাকের নিচেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে জুতা রাখা হচ্ছে। সেজন্য সবাইকে সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে নতুন নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানান তারা।
এদিকে, অন্য হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ জহুরুল হক হলের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও, কেউ কেউ সমান সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। যেমন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের হলে এখনো পর্যাপ্ত পড়ার টেবিলও নেই। অথচ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য হলগুলোতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, জহুরুল হক হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম পুরনো, বৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী আবাসিক হল। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুশৃঙ্খল, পরিচ্ছন্ন ও মানবিক আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা শিক্ষার্থীদের।