ঢাকার নতুনবাজার এলাকায় শনিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত ২৬ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। এতে বাড্ডা-কুড়িল রোডের এক পাশে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণ দেখিয়ে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ২৬ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা আন্দোলনে নামেন। তারা অভিযোগ করেন, প্রায় আট মাস ধরে আশ্বাস দিয়ে বসিয়ে রেখে এখন চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে তারা।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ভিসির পদত্যাগসহ নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন চলছিল। আর সেই আন্দোলন দমানোর কৌশল হিসেবেই বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ঘোষণা, যতদিন বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হবে, ততদিন সড়ক অবরোধ অব্যাহত থাকবে।
এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের বারবার সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। ডিএমপি জানায়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলে আন্দোলন সরিয়ে নিতে বলা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা রাজি না হওয়ায় বেলা সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তবে ডিএমপির দাবি, পুলিশ কোনো বলপ্রয়োগ করেনি।
পরে শিক্ষার্থীরা আবারও সড়ক দখল করে আন্দোলন চালিয়ে যান। এসময় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ডিএমপি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কেউ কেউ বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুলিশের লাঠিচারের খবর দিচ্ছেন, যা সঠিক নয়।
ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। সড়কের এক পাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ ও গুজব থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে।