ভোটকেন্দ্র স্থাপনে বিতর্কিত নীতিমালা বাতিল এর সিদ্ধান্ত- দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
রাকসু নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন আজ, পরশু ভোটগ্রহণ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কুবি শাখার নেতৃত্বে মাসুম–সাইদুল সড়ক সংস্কার ও রেলপথ চালুর দাবিতে উপাচার্য বরাবর ইবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি প্রদান গাছের সুরক্ষায় গ্রীন ভয়েস সদস্যদের হাতে পাঁচ প্রকার সামগ্রী প্রদান করলেন অধ্যক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি আবেদন শুরু ২৯ অক্টোবর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিক্যাল সেবার সময় রাত ৮টা পর্যন্ত বাড়ানো হলো রাবিতে নবীনবরণ: শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনা বাস্তবায়নে যুক্তি ও শৃঙ্খলার আহ্বান উপাচার্যের জাবিতে প্রাণ রসায়ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা বিদেশে নতুন আগত বাংলাদেশিদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফজলে এলাহী

ভোটকেন্দ্র স্থাপনে বিতর্কিত নীতিমালা বাতিলের সিদ্ধান্ত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫
  • ২১৪ বার দেখা হয়েছে
ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা বাতিল,নির্বাচন কমিশন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিতর্কিত নীতিমালা, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ, প্রশাসনের ছত্রছায়া, নিরপেক্ষ নির্বাচন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, কমিশন সিদ্ধান্ত, আখতার আহমেদ, কাজী হাবিবুল আউয়াল, পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসক, রাজনৈতিক প্রভাব, সুজন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, নতুন নীতিমালা, সংশোধনী, গেজেট প্রকাশ, নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম, নির্বাচন ব্যবস্থার সংশোধন, প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক

নির্বাচন কমিশন (ইসি) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রণীত বিতর্কিত ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশেষ করে, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের বিধানটি বাদ দেওয়া হচ্ছে।

বর্তমান কমিশন মনে করছে, আগের কমিশনের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের দায় তারা নেবে না।

নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “যদি কোনো নীতিমালা নিরপেক্ষ না হয় বা বিশেষ কোনো পক্ষকে সুবিধা দেয়, তবে সেটি পরিবর্তন করা উচিত।”

বিভিন্ন পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নবম সংসদ নির্বাচন থেকে দ্বাদশ সংসদ পর্যন্ত প্রতিটি কমিশন ভোটকেন্দ্র নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন এনেছে।

তবে সবচেয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আসে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময়।

তারা আগের নীতিমালার নিরপেক্ষ কিছু ধারা বাদ দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সম্পৃক্ত করে, যা রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তৈরি করেছিল।

নবম ও দশম সংসদের নীতিমালায় নিরপেক্ষতা রক্ষার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও পরবর্তী কমিশনগুলো তা বাদ দেয়।

এর বদলে, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মতামতের ওপর ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের ভার দেওয়া হয়।

ফলে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, আগের কমিশনের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত সংশোধন করা হবে।

তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব তার নিজস্ব কাঠামোর মধ্যেই থাকা উচিত, প্রশাসনের ওপর নির্ভর করা ঠিক নয়।”

এ বিষয়ে নাগরিক সংগঠন ‘সুজন’-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন,

“ভোটকেন্দ্র স্থাপনে বিতর্কিত নীতিমালা রেখে আগের কমিশন সরকারদলীয় প্রার্থীদের সুবিধা দিয়েছে। এটি পরিবর্তন না করলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না।”

নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নতুন নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে, যেখানে বিতর্কিত বিষয়গুলো বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সংশোধন চূড়ান্ত হলে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT