চীনা বিজ্ঞানীদের ভয়ঙ্কর আবিষ্কার সাইবর্গ মৌমাছি - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
আজ ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ভুয়া ফটোকার্ডে ভুগছে গণমাধ্যম, পথ দেখাচ্ছে সাবাস বাংলাদেশ এর স্মার্ট ফটোকার্ড  আসিফ আদনানদের নামে জিহাদি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মামলা: আবারও জঙ্গী কার্ড? ভাড়ার তর্কে ইবি ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ, জনি পরিবহনের বাস আটক টিটিপি সংশ্লিষ্টতার ধুয়ো তুলে ইসলামপন্থী যুবকদের মামলা-গ্রেফতার হয়রানি: জঙ্গী নাটকের নতুন অধ্যায় ইউটিউবের বড় নীতিমালা পরিবর্তন – মৌলিকতা ছাড়া আর আয় নয় প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বিদেশে পড়াশোনার নামে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ, ক্যামব্রিয়ান চেয়ারম্যান বাশার ১০ দিনের রিমান্ডে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ আবু সাঈদের শাহাদতবার্ষিকীতে চার উপদেষ্টাসহ দিনব্যাপী কর্মসূচি সাগরে দূষণ রুখতে রোবটিক মাছ ‘গিলবার্ট’, বাংলাদেশেও ব্যবহারের সম্ভাবনা

চীনা বিজ্ঞানীদের ভয়ঙ্কর আবিষ্কার সাইবর্গ মৌমাছি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫
  • ৩৪ বার দেখা হয়েছে
সংগৃহীত ছবি
সংগৃহীত ছবি

একটি মৌমাছি, যার ওজন কয়েকশো মিলিগ্রামের বেশি নয়, আজ তার ছোট্ট শরীরেই লুকিয়ে রয়েছে ভবিষ্যতের এক ভয়ঙ্কর বাস্তবতা। বেইজিং ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি তৈরি করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে হালকা “ইনসেক্ট ব্রেইন কন্ট্রোলার”—যার ওজন মাত্র ৭৪ মিলিগ্রাম।

এই যন্ত্রটি মৌমাছির পিঠে সযত্নে বেঁধে দেওয়া হয়। তারপর তিনটি সূচ ঢুকে পড়ে সরাসরি তার মস্তিষ্কে—একটি প্রাণীর স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির পরিণতি হয় বৈদ্যুতিক তরঙ্গের বশ্যতায়। এর মাধ্যমেই গবেষকরা নির্ধারণ করেন মৌমাছির উড়ার পথ, ডানার ছন্দ, এমনকি কোথায় গিয়ে নামবে তাও।

গবেষকদল বলছেন, এই নিয়ন্ত্রিত মৌমাছিগুলো ভবিষ্যতে সামরিক গোয়েন্দা হিসেবে কিংবা দুর্যোগকবলিত এলাকায় উদ্ধার অভিযানে ব্যবহৃত হতে পারে। প্রকৃতির ছদ্মবেশে এই প্রাণীগুলো যেখানে ড্রোনও ঢুকতে পারে না, সেখানে সহজেই পৌঁছাতে সক্ষম।

কিন্তু প্রশ্ন জাগে—এই প্রযুক্তি যদি মানুষের হাতে পড়ে অন্ধ ক্ষমতার খেলায়, তবে কি আর মৌমাছি মৌমাছি থাকবে? নাকি তারা পরিণত হবে একেকটি জৈব গুপ্তচর ড্রোনে—যা নজরদারি করবে ঘরের পর্দার আড়ালে, ব্যালকনির টবে কিংবা নিরীহ শিশুদের মাথার ওপর দিয়ে?

যে গল্পগুলো আমরা আগে শুধু হলিউড সিনেমা বা ডার্ক সায়েন্স ফিকশন উপন্যাসে পড়েছি—সেসব এখন ধীরে ধীরে গবেষণাগারের আলো পেরিয়ে ঢুকে পড়ছে পৃথিবীর বাস্তব মঞ্চে।

মৌমাছির পিঠে যন্ত্র, মস্তিষ্কে সূচ, ও নিয়ন্ত্রিত আচরণ—এই তিনটি বাক্যই যথেষ্ট নতুন যুগের উদ্বেগ জাগাতে। যেখানে প্রযুক্তি আর নৈতিকতার সীমারেখা ক্রমেই ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, মৌমামছি দিয়ে শুরু, কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে এর বলি তো মানুষও হতে পারে! কে জানে, ভবিষ্যতের মানুষ হয়ত এভাবেই কারো অদৃশ্য ইশারায় পুতুলের মতো নিয়ন্ত্রিত হবে!

আমরা যারা প্রযুক্তিকে কেবল মানবকল্যাণের বাহন হিসেবে ভাবি, আমাদের জন্য এটি এক অশনি সংকেত। একদিকে উন্নতির হাতছানি, অন্যদিকে জীবনের নিজস্ব ছন্দকে মুছে দিয়ে যন্ত্রচালিত জীবপ্রকৃতি তৈরির নেশা।

সর্বশেষ প্রশ্নটি থেকেই যায়—এই মৌমাছিটি কার পক্ষে উড়ছে? প্রকৃতির? নাকি আগামীর অজানা শাসকের?

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT