
ইংরেজি ও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তি তুলে দিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ইংরেজি বিভাগের ২০৮ নম্বর কক্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে এ বৃত্তি তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাজিব এবং একই বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পূর্ণি আক্তার। সভাপতিত্ব করেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস। প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এম. এম. শরিফুল করীম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকীসহ অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, “আজ যারা বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়েছেন এটা বড় ধরনের স্বীকৃতি। আমাদের একজন শিক্ষার্থী বলেছেন, তিনি অনেকদিন ধরে প্রথম হওয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু পারেননি, অবশেষে তিনি প্রথম হয়েছেন। তার এই কথার মধ্যেই আজকের অনুষ্ঠানের অনুপ্রেরণা নিহিত। আমি ভিসি স্যারকে ধন্যবাদ জানাই এই বৃত্তির ব্যবস্থা করার জন্য।”
ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এম. এম. শরিফুল করীম বলেন, “মানুষ স্বাভাবতই স্বীকৃতি পেতে চায়। অর্থ সাহায্যই সবচেয়ে বড় বিষয় নয়; বরং মূল বিষয় হলো মেধার স্বীকৃতি। এখানে দুইটি দিক গুরুত্বপূর্ণ—মেধা ও অসচ্ছলতা। অসচ্ছলতা সাময়িক হলেও মেধা চিরস্থায়ী।”
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “যারা আজকে এই বৃত্তি পেল তারা এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলো। আমি চাই তারা আগামী বছরগুলোতেও তাদের সাফল্য ধরে রাখুক। এভাবে প্রতিযোগিতায় আরও শিক্ষার্থী যুক্ত হবে এবং প্রতিষ্ঠান মেধাবীদের দ্বারা সমৃদ্ধ হবে। এই সামান্য অর্থকে চা-মিষ্টিতে খরচ না করে বই কেনায় ব্যবহার করতে হবে, আর সামান্য অংশ বাবা-মাকে দেওয়াও উচিত।”
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস বলেন, “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কয়েক বছর ধরে ধাপে ধাপে এ ধরনের স্কলারশিপ চালু করেছে। তবে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় প্রতিবছর কিছু বিশৃঙ্খলা দেখা দিত। এবার উপাচার্য স্যার অত্যন্ত মানসম্মত নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। এটি সিন্ডিকেটে অনুমোদন পেলে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ ও শিক্ষকদের জন্য প্রণোদনা প্রদানে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।”