সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন থেকে মিছিল বের করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। পরে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনেে সামনের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ উদ্দিন ও নুর উদ্দিন প্রমুখ।
বিক্ষোভ মিছিলে ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস ছাত্রদলের অঙ্গিকার; ছাত্রদল সজাগ থাকবে, ষড়যন্ত্র রুখে দিবে; শিক্ষা সন্ত্রাস একসাথে চলে না; সন্ত্রাসীদের ঠিকানা একসাথে চলে না; আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব দে; লুঙ্গির নিচে রাজাকার, লুঙ্গির মালিক স্বৈরাচার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন বলেন, ‘গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের হামলা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুপ্তরা হামলা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যদি ইন্টেরিম গভর্মেন্ট সন্ত্রাসীদের বিচার না করে ছাত্রদল কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করবে।’
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের দাবিতে রাকসু নির্বাচনে তারা যেন ভোটার হতে পারে সেই দাবি আদায়ে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে হামলা করেছে গুপ্ত সংগঠনের নেতাকর্মীরা৷ তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বেশ ধরেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে ব্যানার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা মব ও বিশৃঙ্খলা করে না।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাজিদ হত্যার খুনিরা যেন ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াতে না পারে- যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন নিরাপদে ক্যাম্পাসের চলাফেরা করতে পারে। কারো পোশাক, চলাফেরা তার ব্যক্তিগত বিষয়; এতে কারো হস্তক্ষেপ করা চলবে না। আবাসিক হলগুলো যেন দখল করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।