চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন গার্মেন্টস নেতৃবৃন্দ। পোশাক খাতের নেতারা বুধবার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়, যাতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে। তারা সতর্ক করেছেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের দায়িত্ব মালিকরা নেবেন না।
বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর এখন কার্যত অচল, অথচ ঈদ আসছে। আমরা আমদানি-রপ্তানি করতে পারছি না। চীন থেকে কাঁচামাল ১৪ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে আসলেও, সেখান থেকে ঢাকায় আসতে ১৮ দিন লেগে যাচ্ছে।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা না থাকলে ব্যবসা কীভাবে চলবে?”
একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন, মালিকরা এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বেতন-ভাতার দায় নেবেন না। তিনি আরো বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে অনেক সংস্কারের কাজ থাকতে পারে, তবে সেটা আমাদের শিল্প ধ্বংস করে যেন না করা হয়।”
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “আমরা যদি রপ্তানি করতে না পারি, কনটেইনারগুলো যদি রাস্তায় পড়ে থাকে, তাহলে শ্রমিকদের টাকা কোথা থেকে দেবো?” বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিজিএমইএর ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মিলিত পরিষদের ইশতেহার ঘোষণার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত সপ্তাহ থেকে কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করছেন, যার ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।
কাজী মনিরুজ্জামান আরও বলেন, “শ্রমিকদের বেতন দিতে গিয়ে অনেক পোশাক শিল্প মালিক গাড়ি ও বাড়ি বিক্রি করছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, কষ্টদায়ক এবং লজ্জাজনক। আমরা এই লজ্জা থেকে মুক্তি চাই। তাই বহুদিন ধরেই নিরাপদ প্রস্থান নীতির দাবি জানিয়ে আসছি।”
কাকরাইল মসজিদ মোড়ে বিক্ষোভের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম. সাখাওয়াত হোসেন বুধবার রাতে বলেন, শ্রমিকদের প্রাপ্য বেতন-ভাতা শিগগিরই পরিশোধ করা হবে। এজন্য টিএনজেড গ্রুপ ও মাহমুদ গ্রুপের জমি, বাড়ি, কারখানা এবং অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করা হবে।