কারা বিভাগকে আধুনিকায়ন করে জেলখানার নাম হবে ‘কারেকশন সার্ভিসেস বাংলাদেশ’ - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, ফেব্রুয়ারিতে ভোট ঢাবির আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের তিন বছরের ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান ঢাবি নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নবীন ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান শেকৃবি কৃষিবিদদের ৩ দফা দাবি নিয়ে আগারগাঁও ব্লকেড মাথার পেছনে গুলির চিহ্ন, রক্তে ভেসে থাকা বুক: ট্রাইব্যুনালে বাবার সাক্ষ্য তিন দফা দাবিতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটডাউন, পরীক্ষা স্থগিত গ্রিনল্যান্ডকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র-ডেনমার্কে নতুন কূটনৈতিক উত্তেজনা স্পেনে বুনোলে ৮০তম টোমাটিনা উৎসব, ১২০ টন টমেটো ছোড়াছুড়িতে মেতে উঠলেন ২২ হাজার মানুষ শেরপুরে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন ও জলবায়ু অভিযোজন প্রযুক্তি নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কারা বিভাগকে আধুনিকায়ন করে জেলখানার নাম হবে ‘কারেকশন সার্ভিসেস বাংলাদেশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ৪৩ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশের কারা বিভাগকে আধুনিকায়ন ও বন্দী সংশোধনে আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে নতুন ধারা চালু হয়েছে। কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন জানান, কারাগারগুলোর নাম পরিবর্তন করে ‘কারেকশন সার্ভিসেস বাংলাদেশ’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত আইন-সংশোধনসহ যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ‘কারেকশন সার্ভিস অ্যাক্ট-২০২৫’ খসড়া চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। মহাপরিদর্শক জানান, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দিদের জন্য নতুন করে ২টি কেন্দ্রীয় ও ৪টি জেলা কারাগার চালু করা হয়েছে। এছাড়া অধিকতর সমন্বয়ের জন্য ঢাকা বিভাগকে ভেঙে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি মুক্তি আনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এতে দালাল চক্রের কার্যক্রম কমেছে এবং ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্তকরণ সহজ হয়েছে। কারা অধিদপ্তরের এই পদ্ধতি সরকারি ও অন্যান্য সংস্থার নিয়োগে মডেল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।

কারাগারের নিরাপত্তা বাড়াতে এআই নির্ভর সিসি ক্যামেরা, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের জন্য বডি ক্যামেরা, কম্প্রিহেনসিভ মোবাইল জ্যামিং, বডি ও লাগেজ স্ক্যানার, গ্রাউন্ড সুয়েপিং মেশিন ও মোবাইল ডিটেক্টরসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করতে কারাগারে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন করা হচ্ছে। বন্দীদের উৎপাদনমুখী করার জন্য সুবিধাজনক স্থানে ‘কারেশনাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ গড়ে তোলা হচ্ছে। তথ্য-উপাত্ত নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণে বন্দীদের কম্প্রিহেনসিভ ডাটাবেস তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বন্দীদের কল ও সাক্ষাত ডিজিটালাইজড করা হয়েছে এবং কারাগার থেকেই অনলাইন ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা সম্ভব।

বন্দীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খেলার, সাংস্কৃতিক ও মনন চর্চার সুযোগসহ ধর্মীয় শিক্ষা ও কাউন্সেলিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। সেবা গ্রহণকারীদের জন্য হটলাইন (১৬১৯১) চালু করা হয়েছে। কারা কর্মকর্তা ও বন্দীদের জন্য কেরাণীগঞ্জে ‘কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল’ নির্মাণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

মাদক নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসৃত হচ্ছে। গত এক বছরে মাদকসেবী ২৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ফৌজদারী মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কারা সদর দপ্তরের জন্য নিজস্ব ডোপ টেস্টিং মেশিনও সংগ্রহ করা হয়েছে।

সার্বিকভাবে, কারা বিভাগকে শুধু নিরাপত্তা কেন্দ্র নয়, বরং বন্দী সংশোধন, স্বাস্থ্যসেবা ও উৎপাদনমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজে পুনর্বাসনযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT